বছরে ৪ বার বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম
- আপডেট সময় : ১১:১৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪
- / ১৮১২ বার পড়া হয়েছে
আইএমএফের শর্ত মেনে বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। আগামী তিন বছরে মোট ১২ বার দাম বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে সমন্বয় করবে বিদ্যুত বিভাগ। এতে উৎপাদন খাতে ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি বাজারে অস্থিরতা তৈরী হবে বলে আশংকা করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। আর ভোক্তা অধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ক্যাপাসিটি চার্জের নামে অপচয় ও অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না।
বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের হিসেবে বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুত উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ১৬ টাকার বেশি। শিল্পখাতে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১১ টাকার কাছাকাছি। আবাসিক পর্যায়ে ফারাক আরেকটু বেশি। সবমিলিয়ে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে সরকারের ভর্তুকি ৫ টাকা ৪৪ পয়সা।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ’র শর্ত অনুযায়ী ২০২৬ সালের মধ্যে এই খাতের ভর্তুকি বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে এখন থেকেই দফায় দফায় বিদুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিদ্যুত বিভাগ। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে উৎপাদন ও রপ্তানীতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা করছেন উদ্যোক্তারা। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীদেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিদ্যুতখাতে ব্যয় বেশি। এই বাস্তবতায় শিল্পখাতে ভর্তুকি না দিতে পারলেও সরকার নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন। না হলে বিপর্যয় নামবে জাতীয় অর্থনীতিতে।
কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ -ক্যাব বলছে, ১০ বছর আগে প্রতি ইউনিট বিদ্যুত উৎপাদনে খরচ হতো ৫ টাকা ৪৭ পয়সা । তখন ইউনিট প্রতি ভর্তুকিরছিলো মাত্র ৯৪ পয়সা। এক দশকের ব্যবধানে অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধির মুল কারণ অপচয় আর দুর্নীতি। গেল অর্থবছরে সরকার এই খাতে মোট ভর্তুতি দিয়েছে ৩৯ হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বেসরকারী বিতর্কিত জ্বালানীতেল ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোকে সরকার পরিশোধ করেছে ২৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি।