বছর ঘুরে হাজির পহেলা বৈশাখ, গোটা দেশ মেতেছে বর্ষবরণে
- আপডেট সময় : ০২:১০:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৬৯৭ বার পড়া হয়েছে
আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যোগ হলো আরও একটি নতুন বছর, ১৪৩০। গোটা দেশ মেতে উঠেছে নতুন বর্ষ বরণের উৎসবে। বরাবরের মতো এবারও রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানই ছিলো বর্ষবরণের মূল আয়োজন। সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই গান, কবিতা আর সুরের মূর্ছণায় রমনা প্রাঙ্গণে বেজে ওঠে নতুনের আহবান। নতুন বছরের এই আহবানে এবারও ছিলো শুভশক্তিকে জাগ্রত করে সম্প্রীতির বন্ধনে অগ্রসর হওয়ার ভিত্তি নির্মাণ।
সূর্যের আভা আর আহির ভৈরব সুরের সারেঙ্গি। এমন মূর্ছনায় স্বাগত জানানো হয় বঙ্গাব্দ ১৪৩০ কে। ছায়ানটের প্রভাতী আয়োজনের শুরু সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে। নতুন বছরের সূর্য যখন লাল আর রক্তিম… তখনই রমনার আঙিণা ভরপুর লাল- সাদা আর নানা রঙের ছটায়।
বাংলাবর্ষ বরণের ঐতিহ্যের ধারক রমনার বটমূলে ছায়ানটের ধ্রুপদি গান। শিল্পীদের সুর আর আবাহনে ছড়িয়ে পড়ে মুগ্ধতা। আবহমান বাংলার পালা গানের সাথে ছিলো আবৃত্তি ও একক গান।
নিত্য প্রাণে মুক্ত হবার আয়োজন আরও আনন্দঘন আর মুখর হয়ে উঠুক। বাঙালিয়ানার এই সার্বজনীন উৎসবের সাথে মিশে গেছে ধর্ম- বর্ণ- নির্বিশেষে সব মানুষ।
অর্ধশতকের বেশি সময়ে ছায়ানটে এই আয়োজন দেশ আর দেশের মানুষকে ভালোবাসার কথা বলেছে বারবার। শপথ শুনিয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বাঁধা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার।
পুরাতন গ্লানি দূর করে কর্মপথ নির্ভার হবে এমন বার্তায় শুভেচ্ছা জানান ছায়ানটের সভাপতি।
সমবেত কণ্ঠের জাতীয় সঙ্গীতের প্রতিধ্বনিতে শেষ হয় অনুষ্ঠান। প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম, আত্মবোধন – আত্ম জাগরণে ছিলো সুরের বাণীতে।