বন্দর, কাস্টমস, বন্ড ও ভ্যাটের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব
![](https://www.satv.tv/wp-content/uploads/2023/10/lazy-Copy.jpg)
- আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১
- / ১৫৩৫ বার পড়া হয়েছে
বন্দর, কাস্টমস, বন্ড ও ভ্যাট কমিশনারেটের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প। এই খাতের উদ্যোক্তা ও বিজিএমইএ নেতারা বলছেন, এই চার প্রতিষ্ঠান আন্তরিক না হলে করোনা পরবর্তী সময়ের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো কঠিন হবে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে। আর চট্টগ্রাম চেম্বার শংকা জানিয়েছে, সরকারের নীতিগত সহায়তা না পেলে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পুরো আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।
গেল অর্থ বছরে ৩১ দশমিক চার পাঁচ বিলিয়ন ডলারের গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানী করেছে বাংলাদেশ। প্রবৃদ্ধির ধারা হিসেব করে চলতি বছর ৩৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানী করার লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রথম চার মাসেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন গার্মেন্টস মালিকরা। কারণ বিশ্বব্যাপী করোনার ভিতি কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপুল পরিমাণ অর্ডার আসতে শুরু করেছে তৈরী পোশাকের।
এই খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, বিপুল এই সম্ভবনা কাজে লাগাতে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে বন্দর, কাস্টমস, বন্ড ও ভ্যাট কমিশনারেটের বৈরীতা।
বিজিএমইএ বলছে, কয়েকজন অসৎ ব্যবসায়ীর অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে রপ্তানী খাতের ওপর এক ধরণের প্রতিবন্ধকতা তৈরী করছে বন্দর ও কাস্টমস সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। এভাবে চলতে থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে রপ্তানীমুখী শিল্প।
আর চট্টগ্রাম চেম্বার বলছে, আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ, বাণিজ্য, শিল্প ও নৌ-পরিবহণের মতো আলাদা আলাদা মন্ত্রণালয়ের অধিন। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় হওয়াটা কঠিন। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে জাতীয় অর্থনীতিতে।
বিজিএমইএ’র হিসেবে দেশে ৪ হাজার ৭শ’ গার্মেন্টসের মধ্যে করোনার আগেও সচল ছিলো ১৯৬৬টি কারখানা। বর্তমানে অপারেশনে আছে ১ হাজার ৬শ’টি প্রতিষ্ঠান। বর্তমান সময়ে যে পরিমাণ অর্ডার আসতে শুরু করেছে তা অব্যাহত থাকলে সচল প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দ্রুতই বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।