বন্যা দুর্গতা এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার সংকট
- আপডেট সময় : ১২:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর ও পাবনা সহ বিভিন্ন এলাকার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনো বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে সব নদ-নদীর পানি । এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।দুর্গতা এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার সংকট।
কুড়িগ্রামে ধরলার পানি সামান্য কমলেও ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রায় অপরিবর্তিত থেকে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে । ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। দীর্ঘ বন্যায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে চরম কষ্টে দিন দিন পার করছে জেলার ৪ শতাধিক চরের প্রায় ৪ লাখেরও বেশি বানভাসী মানুষ। ত্রাণ স্বল্পতায় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে হতদরিদ্র পরিবারগুলো। খাদ্যের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে গৃহপালিত পশু-পাখির। বন্যা দুর্গত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়াসহ পানি বাহিত নানা রোগ।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমতে থাকলেও এখনও প্রবলবেগে বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে সকাল ৬ টায় কাজিপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ও সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধের হার্ডপয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
নেত্রকোনায় ধনু নদীর পানি বিপদসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কংস, সোমেশ্বরীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানিও বেড়েছে । পানিবন্দি জেলার প্রায় ৭০ হাজার মানুষ খাদ্য সংকটে পড়েছে।
জামালপুরে যমুনার পানি কিছুটা কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে উন্নতি হয়নি সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির। গত ২৪ ঘন্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি ১৩ সেন্টিমিটার কমে আজ সকালে বিপদসীমার ৯২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে একমাসের বেশি সময় ধরে পানিবন্দি থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে বানভাসি মানুষ।
মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি ও ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার কমে নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদ সীমার ৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর পদ্মা নদীর পানি পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদ সীমার ০.৭৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। পানি বন্দি হয়ে পরেছে কয়েক হাজার মানুষ।
মানিকগঞ্জে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গেল ২৪ ঘন্টায় পানি বৃদ্ধি না পেলে অভ্যন্তরীণ নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আরো অনেক এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
এদিকে, শরীয়তপুরে বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে। পদ্মানদীর পানি বিপদ সীমার ৩০ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে ৪টি উপজেলায় ২ লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়ি রাস্তাঘাটে হাটু ও কোমড় পানিতে ডুবে গেছে।