০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

বন্যা দুর্গত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝে দু-একদিন পানি একটু কমলেও এখন স্থিতি অবস্থা বিরাজ করছে। ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন বানভাসী মানুষ। দুর্গত এ লাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

কুড়িগ্রামে আবারো বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান, বন্যার পানি আবারো বৃদ্ধি পেয়ে ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গোপালগঞ্জে মধুমতি নদী ও কুমার নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গোপালগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। মধুমতি নদীর পানি বিপদ সীমার আরো ১ সেন্টিমিটার বেড়ে ২৯ সেন্টিমিটার এবং মাদারীপুর বিল রুট ক্যানেল পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি তৃতীয় দফায় টানা ৬ দিন কমার পর চতুর্থ দফায় আবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি রেববার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধের হার্ডপয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।.
মাদারীপুরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁর পানি বাড়ায় জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী, চরজানাজাত, বন্দরখোলা, মাদবরেরচর ও সন্ন্যাসীরচরসহ ৫টি ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি ও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

ফরিদপুরের পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে তা বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে, ধারাবাহিকভাবে বন্যার পানি কমার কারনে বন্যা কবলিত বাড়ী-ঘর জাগতে শুরু করেছে।

মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে রবিবারর সকাল ৯ টার দিকে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার অভ্যন্তরী নদীর নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি জেলার ৭টি উপজেলার ৬টি উপজেলার লক্ষ লক্ষ পানিবন্দি মানষের।

গাজীপুরে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি, দুর্ভোগ কমেনি বন্যার্তদের। তুরাগ , বংশী ও ঘাটাখালি নদীর পানি কমতে শুরু করায় গাজীপুরের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে এরই মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে কালিয়াকৈর উপজেলার ১১২টি গ্রাম।

নেত্রকোনায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমছেনা। এদিকে ধনু নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনও বিপদসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, সকালে যমুনা নদীর পানি কমে নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর পদ্মা নদীর পানি পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৯২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বন্যা দুর্গত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট

আপডেট সময় : ০১:৫৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অগাস্ট ২০২০

দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝে দু-একদিন পানি একটু কমলেও এখন স্থিতি অবস্থা বিরাজ করছে। ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন বানভাসী মানুষ। দুর্গত এ লাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

কুড়িগ্রামে আবারো বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান, বন্যার পানি আবারো বৃদ্ধি পেয়ে ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গোপালগঞ্জে মধুমতি নদী ও কুমার নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গোপালগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। মধুমতি নদীর পানি বিপদ সীমার আরো ১ সেন্টিমিটার বেড়ে ২৯ সেন্টিমিটার এবং মাদারীপুর বিল রুট ক্যানেল পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি তৃতীয় দফায় টানা ৬ দিন কমার পর চতুর্থ দফায় আবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি রেববার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধের হার্ডপয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।.
মাদারীপুরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁর পানি বাড়ায় জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী, চরজানাজাত, বন্দরখোলা, মাদবরেরচর ও সন্ন্যাসীরচরসহ ৫টি ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি ও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

ফরিদপুরের পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে তা বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে, ধারাবাহিকভাবে বন্যার পানি কমার কারনে বন্যা কবলিত বাড়ী-ঘর জাগতে শুরু করেছে।

মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে রবিবারর সকাল ৯ টার দিকে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার অভ্যন্তরী নদীর নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি জেলার ৭টি উপজেলার ৬টি উপজেলার লক্ষ লক্ষ পানিবন্দি মানষের।

গাজীপুরে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি, দুর্ভোগ কমেনি বন্যার্তদের। তুরাগ , বংশী ও ঘাটাখালি নদীর পানি কমতে শুরু করায় গাজীপুরের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে এরই মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে কালিয়াকৈর উপজেলার ১১২টি গ্রাম।

নেত্রকোনায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমছেনা। এদিকে ধনু নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনও বিপদসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, সকালে যমুনা নদীর পানি কমে নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর পদ্মা নদীর পানি পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৯২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।