বন্যা দুর্গত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত নানা রোগ
- আপডেট সময় : ১২:১৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সব নদ-নদীর পানি বেড়ে এখনো বিপদসীমার উপরে বইছে। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। সেই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত নানা রোগ।
দীর্য প্রায় ১ মাসের বন্যায় চরম দূর্ভোগে রয়েছে জামালপুরের ৭ উপজেলার ৫৯টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ লাখ পানিবন্দি মানুষ। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, খাবার, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। তলিয় গেছে ১৩ হাজার হেক্টর জমির ফসলাদি।বন্যা কবলিত মানুষগুলো আশ্রয় নিয়েছে উচু বাধের উপরে।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর স্থিতিশীল থাকলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। বরং দুর্ভোগ বেড়েছে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পানিবন্দী প্রায় ৪ শতাধিক চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ৪ লাখের বেশি মানুষ। ত্রাণ স্বল্পতায় খাদ্য সংকট দিনে দিনে চরম আকার ধারন করছে। বন্যার পানিতে ৪১ হাজার নলকুপ ও চারণভুমি তলিয়ে থাকায় তীব্র হয়ে উঠছে বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং গো-খাদ্যের সংকট।
নেত্রকোনায় পানি বৃদ্ধি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার খালিয়াজুড়ির ধনু নদীর পানি ১১০ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কংস, ধনু, সোমেশ্বরীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত। এতে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জে তৃতীয় দফায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আরো ভয়ংকর হয়ে উঠেছে প্রমত্তা যমুনা, ভাঙ্গছে নদীর দু’কূল। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হলেও পর্যাপ্ত ত্রাণ তৎপরতা না থাকায় বানভাসীদের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।
পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলে নদী ভাঙ্গনের ব্যাপকতা বেড়েছে। গত কয়েক ঘণ্টায় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতভিটা।
টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। এতে করে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।গরু-ছাগলসহ গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে বানভাসি মানুষ। ভেসে গেছে বিস্তীর্ন এলাকার ফসলি জমি, রাস্তা ঘাট এবং পুকুরের মাছ।
এদিকে,গাইবান্ধায় টানা বর্ষণ আর উজানের ঢলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া বাড়িঘর ছেড়ে গবাদি পশু নিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে পানি বাহিত রোগ।