০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বন্যা ভয়াবহ হয়ে ওঠায় কুড়িগ্রামে পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৬:৩১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪
  • / ১৬০৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদীর পানি বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এরই মধ্যেই কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাট, হাটবাজারে পানি ঢুকে কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমিকেরা।বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপূত্র তীরবর্তী বন্যা কবলিত হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যত্র। পানিবন্দি প্রায় দুই লাখ মানুষ। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২৬.৫৮, ধরলায় ২৬.৩৬, দুধকুমারে ৩০.১১ ও তিস্তা নদীর পানি ২৯.২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনো বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি জেলার পাঁচ উপজেলার ৩৪ ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলাখ মানুষ। বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় উঁচ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে বানবাসি মানুষ। বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে বন্ধ রয়েছে জেলার ৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয।

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সহসা দুর্দশা কাটছে না পানিবন্দি মানুষের। এখনও কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।

জামালপুরে দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ও সরিষাবাড়ীর জগন্নাথগঞ্জ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। বন্ধ রয়েছে ১০৫টি প্রাথমিক ও ৩১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি প্রায় ৮০ হাজার মানুষ।

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতিতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন–সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ২৭ ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ সবজি ক্ষেত।

কয়েকদিনের টানা বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের নিম্মাঞ্চল। বাড়ি-ঘরে বন্যার পানি ঢুকে দুর্ভোগ বেড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বন্যা ভয়াবহ হয়ে ওঠায় কুড়িগ্রামে পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ

আপডেট সময় : ০৬:৩১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদীর পানি বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এরই মধ্যেই কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাট, হাটবাজারে পানি ঢুকে কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমিকেরা।বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপূত্র তীরবর্তী বন্যা কবলিত হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যত্র। পানিবন্দি প্রায় দুই লাখ মানুষ। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২৬.৫৮, ধরলায় ২৬.৩৬, দুধকুমারে ৩০.১১ ও তিস্তা নদীর পানি ২৯.২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনো বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি জেলার পাঁচ উপজেলার ৩৪ ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলাখ মানুষ। বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় উঁচ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে বানবাসি মানুষ। বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে বন্ধ রয়েছে জেলার ৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয।

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সহসা দুর্দশা কাটছে না পানিবন্দি মানুষের। এখনও কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।

জামালপুরে দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ও সরিষাবাড়ীর জগন্নাথগঞ্জ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। বন্ধ রয়েছে ১০৫টি প্রাথমিক ও ৩১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি প্রায় ৮০ হাজার মানুষ।

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতিতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন–সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ২৭ ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ সবজি ক্ষেত।

কয়েকদিনের টানা বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের নিম্মাঞ্চল। বাড়ি-ঘরে বন্যার পানি ঢুকে দুর্ভোগ বেড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।