বর্ষার ভরা মৌসুমে দেশজুড়ে চলছে অস্বাভাবিক তাপদাহ
- আপডেট সময় : ১২:১৭:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২
- / ১৫৬৪ বার পড়া হয়েছে
তপ্ত প্রখর রোদের দখলে প্রকৃতি। আকাশের চোখ রাঙানি জানান দিচ্ছে, ভরা বর্ষায়ও সহসা স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলবে না।
তীব্র গরমে সবচেয়ে কষ্টে আছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের প্রভাবে অসহনীয় গরম সইতে হচ্ছে নগরবাসীকে। বৃষ্টি হলে কমতে পারে তাপমাত্রা।
রাজধানীর কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হলেও তাতে গরম কমেনি। বরং গরমের মাত্রা আরো বেড়েছে। রোববারের পর বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। তখন তাপমাত্রা কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আষাঢ় মাস শেষ। আজ থেকে শুরু শ্রাবণ।
বর্ষার এমন ভরা মৌসুমে দেশজুড়ে চলছে অস্বাভাবিক তাপদাহ। নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। তার ওপর দফায় দফায় বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে অতিষ্ঠ জনজীবন।
রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চল জুড়ে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে প্রকৃতি। আষাঢ় শেষেও বৃষ্টির দেখা নেই। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। দুপুর গড়াতেই প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে মাঠঘাট সব ফাঁকা হয়ে পড়ছে। পথচারীরা গাছের ছায়া পেলেই বিশ্রাম নিচ্ছেন। মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস করছে পশু-পাখিরাও।
তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। মেঘ-বৃষ্টির দেখা না মেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে রোদের তাপ। কৃষিতে দেখা দিয়েছে সেচ সংকট। শুকিয়ে যাচ্ছে আমন-চারা।
তীব্র তাপদাহে দিনাজপুরের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। দিনের তাপমাত্রা থাকছে ৩৭ থেকে ৩৯ ডিগ্রীর মধ্যে। তীব্র গরমের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা।
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ রংপুরবাসী। এক সপ্তাহরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুই ছুই করছে। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কর্মজীবী মানুষের জীবন।
জামালপুরে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে তীব্র তাপদাহ। বৃষ্টিবিহীন পরিবেশে হাঁপিয়ে উঠেছে এই জনপদের মানুষ। তীব্র তাপদাহে শহরের ব্যস্ততম এলাকাগুলো দুপুর থেকেই জনশুন্য হয়ে পড়ছে।
ভ্যাপসা গরম আর থেমে থেমে বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে গাইবান্ধায় অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গরমে যেন পুড়ছে শহরবাসী।
খুলনায় গরমের তীব্রতায় অতিষ্ঠ জনজীবন। আকাশে মেঘ থাকলেও বৃষ্টির দেখা নেই। বাইরে বেরুলেই সূর্যের প্রখর তাপে ঘেমে নেয়ে একাকার সবাই।
চাঁদপুরে তীব্র তাপদাহে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ। আগামী আরো ৪/৫ দিন এমন অবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।