বর্ষা আসলে ভাঙন আতংক বাড়ে চাঁদপুর জেলার চরাঞ্চলে

- আপডেট সময় : ০১:৪৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩
- / ১৭৫১ বার পড়া হয়েছে
চাঁদপুর জেলা সদরের পশ্চিমে বছর জুড়ে অব্যাহত থাকে পদ্মা-মেঘনার ভাঙন। তবে বর্ষা আসলে ভাঙন আতংকে বাড়ে চরাঞ্চলে। বর্তমানে সদরের ইব্রাহীমপুর ও শরীয়তপুর জেলার চরছেনসাস এলাকায় ভাঙন তীব্র হচ্ছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর পশ্চিমে অধিকাংশ এলাকাই শরীয়তপুর জেলা সীমান্তে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের একাংশ আলু বাজার ফেরিঘাট। এখানকার প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও শত শত বসতঘর ও স্থাপনা গত কয়েকমাসে মেঘনা গর্ভে বিলীন হচ্ছে। বর্ষার পানি কমা শুরু করলে ভাঙনের তীব্রতা আরো বাড়বে। স্থানীয়রা নিজেদের বসতভিটা রক্ষা করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হচ্ছেন।
বর্ষা মৌসুমের শুরুতে এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক বাড়ী-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। জিও ব্যাগ ও বাঁশ দিয়ে বাধ দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করলেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। স্থানীয়দের দাবি, সরকার যেন বাঁধ নির্মাণ করে বসতভিটা রক্ষায় এগিয়ে আসে।
ভাঙন প্রতিরোধে সরকারি ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান এই ইউপি চেয়ারম্যানের।
ইব্রাহীমপুর ফেরিঘাট এলাকার ভাঙন রোধে প্রকল্প নেয়া হয়েছে, ডিজাইনও প্রস্তুত। চলতি অর্থ বছরের শুরুতে দাখিল করা হবে। পাশাপাশি যেখানে বেশী ভাঙন দেখা দিয়েছে সেখানে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানালেন পাউবোর এই কর্মকর্তা।
ভাঙ্গন বন্ধ হলে বসতভিটার পাশাপাশি ফসলি জমিতে আবাদ বাড়বে বলে আশাবাদী ভাঙ্গনের কবলে পড়া বাসিন্দারা।