বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা ঠেকাতে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে যৌথ টহল দিচ্ছে বিজিবি
- আপডেট সময় : ০২:১৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই ২০২০
- / ১৫২৭ বার পড়া হয়েছে
বিএসএফের হাতে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা ঠেকাতে সীমান্তে রাতদিন চলছে পাহারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে নিয়ে যৌথ টহল দিচ্ছে বিজিবি। ঈদকে সামনে রেখে সীমান্তে যাতে কোনোভাবেই চোরাকারবারীদের সমাগম না ঘটে, সেজন্য নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সীমান্ত এলাকাগুলোতে এজন্য কমিটিও গঠন করা হয়েছে
রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধের টি-বাঁধ পয়েন্ট হতে পদ্মা পেরুলেই চর খানপুর। এ চরেই ভারতীয় সীমানা। দু’কূল ছাপানো ঢেউয়ের সারি পাড়ি দিয়ে ওপারে উঠতেই চোখে পড়লো চরের মধ্যে টংঘরে বসে আছেন একদল মানুষ। নিছক আড্ডা কিংবা খোশগল্প করে সময় কাটাতে নয়, তারা সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন বাংলাদেশ-ভারত সীমানায়।ঈদের আগে ভারতীয় সীমান্তে আনাগোনা বাড়ে চোরাকারবারীদের। বিশেষ করে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরই ভারত থেকে আসে বিপুলসংখ্যক গরু। এসব গরু রাজশাহী হয়ে চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সীমান্তে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে আসে মাদক ও অস্ত্র। তবে আগের তুলনায় এবার বেশ কড়াকড়ি। এবার স্থানীয়রাও একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন চোরাকারবারীদের ঠেকাতে।
কেবল দিনেই নয়, রাতেও চলছে সীমান্ত সুরক্ষায় নানা কর্মকাণ্ড। পালা করে রাত জেগে পাহারায় থাকেন গ্রামবাসী। কারণ রাত বাড়লেই চোরাকারবারীদের তৎপরতায় সরগরম হয়ে ওঠে সীমান্ত এলাকা। কিন্তু এবার আর সে সুযোগ ভেস্তে গেছে।এদিকে, গেল একমাসে বিভিন্ন সীমান্তে বিএসএফের হাতে অন্তত সাত বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। এ অবস্থায় সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতেও বাংলাদেশি নাগরিকদের সীমান্ত অতিক্রমে জিরোটরালেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বিজিবি।
বিএসএফের বৈরী ভূমিকার কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বাড়তে থাকায় সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের চলাচলে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছে বিজিবি।