১১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে পদ্মা সেতু

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:০২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৫২৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে পদ্মা সেতু। এ সেতু চালু হলে বছরে জিডিপি বাড়বে প্রায় দেড় শতাংশ হারে। আর দারিদ্র্য কমবে প্রতিবছর আরো এক শতাংশ হারে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯ জেলাকে সরাসরি যুক্ত করবে সেতুটি। দক্ষিণের বন্দরগুলোতে গতি পিরে বাড়বে রপ্তানীও। অর্থনীতিবিদরা এ তথ্য দিয়ে বলছেন, পদ্মাসেতুর এই সংযোগ বদলে দেবে পুরো দেশের অর্থনীতি আর শিল্পায়নের চিত্র।

ফেরি চলাচল হঠাৎ বন্ধ। তাই স্থবির এই গাড়ির সারি। বন্ধ এপার-ওপারে যাওয়া-আসা। তবে, এই দুর্ভোগ শেষ হচ্ছে, আর মাত্র বছর দেড়েক পর। ২০২২ সালের শেষার্ধে পদ্মার উপর দিয়ে তুমুল গতিতে চলবে গাড়ি। ২০২৪ সালে চলবে রেল। গতি বাড়বে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯ জেলার অর্থনীতিরও। বৈশ্বিক ও দেশীয় নানা ষড়যন্ত্র আর বাধা উপেক্ষা করে অবশেষে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান পদ্মাসেতু।

অর্থনীতিবিদদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী এ সিদ্ধান্তে প্রতিবছর বাংলাদেশে উৎপাদন বাড়বে অন্তত ৩৫ হাজার কোটি টাকার, যা জিডিপি’র সোয়া শতাংশেরও বেশি। আর এতে প্রতিবছর দারিদ্র্য কমবে ০ দশমিক ৮৪ শতাংশ হারে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দুটি সমুদ্র বন্দর এবং একাধিক বিমান বন্দর থাকায় বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহী হবে এই অঞ্চলে বিনিয়োগে। ফলে কেবল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলই নয়, গোটা দেশের বাণিজ্যে আসবে গতি, বাড়বে কর্মসংস্থান, সমৃদ্ধ হবে জাতীয় অর্থনীতি।

অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়া সেই বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষাই বলছে, দেশের কমপক্ষে ৩ কোটি মানুষ সরাসরি এই সেতুর মাধ্যমে উপকৃত হবে। আঞ্চলিক জিডিপি বাড়বে অন্তত সাড়ে ৩ শতাংশ। উন্নয়ন অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধিই নয়, আহ্চলিক বৈষম্য কমাতেও বড় ভূমিকা রাখবে পদ্মা সেতু।

গবেষণা বলছে, পদ্মার দু’পাড় সংযুক্ত হওয়ায় বঙ্গোপসাগর-তীরের বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার নতুন আঞ্চলিক হাব। সরকারের রাজস্ব-আয় এতে যেমনি বাড়বে, তেমনি কর্মসংস্থান, পর্যটন, গ্রামকে শহরে রূপান্তর, জমির দাম বাড়াসহ সারাদেশের মানুষ ভোগ করবে বহু আকাংক্ষিত এই সেতুর প্রত্যক্ষ সুফল।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে পদ্মা সেতু

আপডেট সময় : ০২:০২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে পদ্মা সেতু। এ সেতু চালু হলে বছরে জিডিপি বাড়বে প্রায় দেড় শতাংশ হারে। আর দারিদ্র্য কমবে প্রতিবছর আরো এক শতাংশ হারে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯ জেলাকে সরাসরি যুক্ত করবে সেতুটি। দক্ষিণের বন্দরগুলোতে গতি পিরে বাড়বে রপ্তানীও। অর্থনীতিবিদরা এ তথ্য দিয়ে বলছেন, পদ্মাসেতুর এই সংযোগ বদলে দেবে পুরো দেশের অর্থনীতি আর শিল্পায়নের চিত্র।

ফেরি চলাচল হঠাৎ বন্ধ। তাই স্থবির এই গাড়ির সারি। বন্ধ এপার-ওপারে যাওয়া-আসা। তবে, এই দুর্ভোগ শেষ হচ্ছে, আর মাত্র বছর দেড়েক পর। ২০২২ সালের শেষার্ধে পদ্মার উপর দিয়ে তুমুল গতিতে চলবে গাড়ি। ২০২৪ সালে চলবে রেল। গতি বাড়বে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯ জেলার অর্থনীতিরও। বৈশ্বিক ও দেশীয় নানা ষড়যন্ত্র আর বাধা উপেক্ষা করে অবশেষে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান পদ্মাসেতু।

অর্থনীতিবিদদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী এ সিদ্ধান্তে প্রতিবছর বাংলাদেশে উৎপাদন বাড়বে অন্তত ৩৫ হাজার কোটি টাকার, যা জিডিপি’র সোয়া শতাংশেরও বেশি। আর এতে প্রতিবছর দারিদ্র্য কমবে ০ দশমিক ৮৪ শতাংশ হারে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দুটি সমুদ্র বন্দর এবং একাধিক বিমান বন্দর থাকায় বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহী হবে এই অঞ্চলে বিনিয়োগে। ফলে কেবল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলই নয়, গোটা দেশের বাণিজ্যে আসবে গতি, বাড়বে কর্মসংস্থান, সমৃদ্ধ হবে জাতীয় অর্থনীতি।

অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়া সেই বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষাই বলছে, দেশের কমপক্ষে ৩ কোটি মানুষ সরাসরি এই সেতুর মাধ্যমে উপকৃত হবে। আঞ্চলিক জিডিপি বাড়বে অন্তত সাড়ে ৩ শতাংশ। উন্নয়ন অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধিই নয়, আহ্চলিক বৈষম্য কমাতেও বড় ভূমিকা রাখবে পদ্মা সেতু।

গবেষণা বলছে, পদ্মার দু’পাড় সংযুক্ত হওয়ায় বঙ্গোপসাগর-তীরের বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার নতুন আঞ্চলিক হাব। সরকারের রাজস্ব-আয় এতে যেমনি বাড়বে, তেমনি কর্মসংস্থান, পর্যটন, গ্রামকে শহরে রূপান্তর, জমির দাম বাড়াসহ সারাদেশের মানুষ ভোগ করবে বহু আকাংক্ষিত এই সেতুর প্রত্যক্ষ সুফল।