বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় ভারতে আটকে আছে ৫ হাজারেরও বেশি ট্রাক
- আপডেট সময় : ০৯:২২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ নয়, দুদেশের পরিবহন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ভারতের বনগাঁ পৌরসভা। ফলে বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় বেনাপোলের ওপারে আছে ৫ হাজারেরও বেশি ট্রাক। ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা।
দু’বছর আগেও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪’শ থেকে ৫’শ পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে ঢুকতো। বর্তমানে বন্দর কর্তৃপক্ষের বদলে ভারতের বনগাঁ পৌরসভা বিষয়টি নিয়ন্ত্রন করছে। এতে সৃস্টি হচ্ছে নানা জটিলতা।পেট্রাপোল বন্দরে গড়ে উঠা সিন্ডিকেট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পণ্যবাহী ট্রাকের সিরিয়াল নিয়ন্ত্রন করছে। ভারতের কালিতলা পার্কিংয়ে ট্রাক ঢোকার পর সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে চলে যায়।
একটি পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে ঢুকতে এখন এক মাসের বেশি সময় লাগছে। ট্রাক প্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা দিলে সময় লাগে তিন থেকে চার দিন। এখন মাত্র দু’শ থেকে দু’শ ২০টি ট্রাক ঢোকায় বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়ও কম হচ্ছে। আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা দীর্ঘসূত্রিতার কারনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পন্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, বনগাঁ পৌরসভার মেয়র শংকর আঢ্য ডাকু ব্যক্তিগত পার্কিংয়ে ট্রাকগুলো জোর করে প্রবেশ করান। ট্রাক প্রতি দু’হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। আটকে থাকার কারনে পণ্যের গুনগত মান নস্ট হচ্ছে। দেশের ৭৫ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচা মালামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে।
বছরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে বেনাপোল কাস্টমস হাউস। এসব সিন্ডিকেট থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে সরকারের রাজস্ব আরও বৃদ্ধি পাবে।
জটিলতা নিরসনে দু’দেশের উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।