বাজেট উপস্থাপনের পরদিনই রাজধানীর বাজারে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম
- আপডেট সময় : ০১:০৬:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০
- / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে
বাজেট উপস্থাপনের পরদিনই রাজধানীর বাজারে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। এক সপ্তার ব্যবধানে বস্তা প্রতি বেড়েছে ২ শ থেকে আড়াই’শ টাকা । এজন্য মিল মালিকদের দায়ী করছে চাল ব্যবসায়ীরা । আর মুদিপণ্য স্থিতিশীল থাকলেও ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বাড়তি বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি ঈদের পরেও ব্রয়লার মুরগীর বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৭০ টাকা, ক্রেতা শুন্যের অজুহাতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ।
২০২০-২১ অর্থবছরের এই বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ, রসুনের স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কমানো হয়েছে। পাশাপাশি কমছে আমদানি করা চিনি ও রসুনের অগ্রিম আয়কর । ফলে কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে দাম কমবে। তবে বাজেট পেশের পরদিনই বাজারে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। ব্যবসায়ীরা জানান, ভরা মৌসুমে গত দুই বছরের মধ্যে এবারই চালের দাম সবচেয়ে বাড়ছে বেশি, তাদের দাবি, বাজেট ঘোষণার আগেই চাল মুজত করেছে সরকার, তাই চালের দাম বৃদ্ধির কারণ মিল মালিকদের সিন্ডিকেটকেই দায়ী করলেন তারা ।
এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের মধ্য ডাল আদা রসুন পেঁয়াজ সয়াবিন তেলসহ সব ধরনের মুদি পণ্যের দাম সহনীয় থাকলেও বাজেট পাসের পর তা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের । বর্ষা মৌসুমে যেখানে সবজির দাম সহনীয় থাকার কথা সেখানে নান অজুহাতে আলু বেগুন পটল ঢেরশ কাচাঁ মরিচ সহ সব ধরনের সবজির কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা ।
ক্রেতা শূন্য অজুহাত তো আছে মাছের সরবরাহ কমের দোহায় দিয়ে রুই কাতলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং ছোট মাছের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে । মাংসের বাজারে ঈদের প্রায় মাস পার হলেও এখনও ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি, আর গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে সরকার বেধেঁ দেয়া দামেই । করোনা ভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণে পরিস্থিতিতে বাজারে জোর মনিটরিংয়ের দাবি সংশ্লিষ্টদের ।