পয়লা নভেম্বর একটি এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ,বাড়বে গ্যাস সংকট

- আপডেট সময় : ১০:২২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৬৬৮ বার পড়া হয়েছে
স্পট মার্কেটে এলএনজি’র দাম বাড়ায় দেশে আমদানীতে টান পড়েছে। ফলে দেশজুড়ে চলছে তীব্র গ্যাস সংকট। পয়লা নভেম্বর আরো একটি এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ হলে আরো বাড়বে সংকট। যা ঠিক হতে দু’মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে আরপিজিসিএল। বিকল্প ব্যবস্থার তাগিদ দিয়ে ক্যাব বলছে, আমদানী করা গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠছে। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, দ্রুত সমাধান না হলে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য ও শিল্পখাত।
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের প্রতিটি সিএনজি পাম্পের সামনে এখন যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। গত তিন দিন ধরেই গ্যাসের চাপ কম থাকায় সক্ষমতার অর্ধেকও ব্যবহার করতে পারছে না পাম্পগুলো। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়েও জ্বালানী সংগ্রহ করতে পারছে না যানবাহনগুলো।
একই অবস্থা শিল্পাঞ্চল ও আবাসিক বাসাবাড়িতেও। গ্যাস সংকটে জ্বলছে না চুলা; ঘুরছে না কলকারখানার চাকা।
আরপিজিসিএল বলছে, মহেশখালীর দুটি ভাসমান টার্মিনাল থেকে দৈনিক সাড়ে ৭ শো থেকে ৮ শো মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হতো জাতীয় গ্রীডে। কিন্তু স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন ৬ শো মিলিয়ন ঘটফুটে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে সংকট তীব্র হচ্ছে।
ক্যাব বলছে, বিকল্প উপায় চিন্তা না করে আমদানীকৃত গ্যাসের ওপর গোটা দেশকে নির্ভরশীল করে তোলার পাশাপাশি এলএনজির যোগান নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অভাবে ঝুকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে জ্বালানী খাত।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, সংকট সমাধানে অগ্রাধিকার খাতগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতিতে।
মহেশখালীর দুটি ভাসমান টার্মিনালের মাধ্যে আগামী পহেলা নভেম্বর একটি টার্মিনালকে নিয়মিত মেরামতের জন্য সিঙ্গাপুরের ডকে পাঠানো হবে। ফলে কমপক্ষে দুই মাস সংকট দীর্ঘায়িত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।