০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপি-জামায়াতের প্রত্যক্ষ মদদে ২১ আগস্টে নৃশংস হামলা বললেন প্রধানমন্ত্রী

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৫২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৬৫২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ একুশ আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক একটি দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায়, সে সময়ের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও, মারা যান আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন ৫’শরও বেশি মানুষ। ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৪৯ জনের মধ্যে কারাগারে মারা গেছেন একজন। ৩৩ জন কারাগারে আর পলাতক রয়েছেন ১৫ জন। শোকাবহ দিনটি নানা আয়োজনে স্মরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এটি কোন হলিউড, বলিউড বা তামিল অ্যাকশন ছবির প্রিমিয়ার নয়। ঘটনাটি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’এর। ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বিকেল ৫টা ২০ মিনিট। সে সময়ের বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা কেবল বক্তব্য শেষ করছেন। আচমকা বিকট শব্দ। একটা নয় দু’টো নয়, পর পর কয়েকটা ভয়ঙ্কর বিষ্ফোরণ।

বুঝে ওঠার আগেই মাটিতে রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন, সে সময়ের মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমান। শরীর থেকে তার পা দু’টো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মঞ্চের চারদিকে ছড়ানো ছিটানো জুতা-স্যান্ডেল আর টুকরো টুকরো মাংস পিণ্ডে সয়লাব হয়ে যায় ওই এলাকা। নিমেষেই গোটা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ছেয়ে যায় কালো ধোঁয়ায়। প্রাণ বাঁচাতে ছুটাছোটি করতে থাকে সমাবেশে আসা নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।

হাসপাতালে নিলেও বাঁচানো যায়না ২৪ জনকে। অনেকেই হয়ে যায় চিরপঙ্গু। কেউ কেউ আজও বয়ে চলেছেন শরীরে গ্রেনেডের ভয়াবহ স্প্লিন্টার সেই দু:সহ স্মৃতি তুলে ধরেন তৎকালীন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এধরনের হামলা চালানো সম্ভব না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

১৫ আগস্টের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতেই বারবার শেখ হাসিনার প্রাণনাশে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে মনে করেন, আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টা।

আজও একুশ আগস্ট হামলার মূল পরিকল্পনাকারী চিহ্নিত না হওয়ায় হতাশা জানান তারা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিএনপি-জামায়াতের প্রত্যক্ষ মদদে ২১ আগস্টে নৃশংস হামলা বললেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৫২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২

আজ একুশ আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক একটি দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায়, সে সময়ের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও, মারা যান আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন ৫’শরও বেশি মানুষ। ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৪৯ জনের মধ্যে কারাগারে মারা গেছেন একজন। ৩৩ জন কারাগারে আর পলাতক রয়েছেন ১৫ জন। শোকাবহ দিনটি নানা আয়োজনে স্মরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এটি কোন হলিউড, বলিউড বা তামিল অ্যাকশন ছবির প্রিমিয়ার নয়। ঘটনাটি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’এর। ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বিকেল ৫টা ২০ মিনিট। সে সময়ের বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা কেবল বক্তব্য শেষ করছেন। আচমকা বিকট শব্দ। একটা নয় দু’টো নয়, পর পর কয়েকটা ভয়ঙ্কর বিষ্ফোরণ।

বুঝে ওঠার আগেই মাটিতে রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন, সে সময়ের মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমান। শরীর থেকে তার পা দু’টো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মঞ্চের চারদিকে ছড়ানো ছিটানো জুতা-স্যান্ডেল আর টুকরো টুকরো মাংস পিণ্ডে সয়লাব হয়ে যায় ওই এলাকা। নিমেষেই গোটা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ছেয়ে যায় কালো ধোঁয়ায়। প্রাণ বাঁচাতে ছুটাছোটি করতে থাকে সমাবেশে আসা নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।

হাসপাতালে নিলেও বাঁচানো যায়না ২৪ জনকে। অনেকেই হয়ে যায় চিরপঙ্গু। কেউ কেউ আজও বয়ে চলেছেন শরীরে গ্রেনেডের ভয়াবহ স্প্লিন্টার সেই দু:সহ স্মৃতি তুলে ধরেন তৎকালীন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এধরনের হামলা চালানো সম্ভব না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

১৫ আগস্টের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতেই বারবার শেখ হাসিনার প্রাণনাশে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে মনে করেন, আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টা।

আজও একুশ আগস্ট হামলার মূল পরিকল্পনাকারী চিহ্নিত না হওয়ায় হতাশা জানান তারা।