০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

আমান-এ্যানিসহ অন্তত ৩’শ বিএনপি নেতাকর্মী আটকের অভিযোগ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৬৮৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির সিনিয়র নেতা আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ (৭ ডিসেম্বর) বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আমানকে আটক করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারকে আমানুল্লাহ আমানের হাত ধরে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

এর আগে বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীকে আটক করে পুলিশ। তার আগে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে আটক করা হয়।

এছাড়াও অন্তত ৩০০ জন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ বলে দাবি করা হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে।

আজ নয়াপল্টনে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় এক জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে অন্তত ১৬ জন।

ঘণ্টা দেড়েকের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। বিকেলে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট। বুধবার সকাল থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের সামনের সড়কে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুরে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে উভয়পক্ষ বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বিকেল পাঁচটার দিকেও থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল। পুলিশও বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নেয়া বিএনপির কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের জটলা বেশি ছিল। এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। আব্বাসের সঙ্গে অনেক নেতা-কর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হন।

বিএনপির সমাবেশ নিয়ে রাজনীতি অঙ্গনে তুমুল আলোচনা চলছে। বিএনপি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায়। অন্যদিকে সরকার সেখানে সমাবেশ করতে দিতে নারাজ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে বিএনপি বলছে, তারা সেখানে সমাবেশ করবে না। বিকল্প হিসেবে তারা আরামবাগের কথা বললেও পুলিশ বলছে রাস্তায় কোনোভাবেই সমাবেশ করা যাবে না।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আমান-এ্যানিসহ অন্তত ৩’শ বিএনপি নেতাকর্মী আটকের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

বিএনপির সিনিয়র নেতা আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ (৭ ডিসেম্বর) বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আমানকে আটক করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারকে আমানুল্লাহ আমানের হাত ধরে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

এর আগে বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীকে আটক করে পুলিশ। তার আগে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে আটক করা হয়।

এছাড়াও অন্তত ৩০০ জন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ বলে দাবি করা হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে।

আজ নয়াপল্টনে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় এক জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে অন্তত ১৬ জন।

ঘণ্টা দেড়েকের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। বিকেলে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট। বুধবার সকাল থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের সামনের সড়কে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুরে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে উভয়পক্ষ বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বিকেল পাঁচটার দিকেও থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল। পুলিশও বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নেয়া বিএনপির কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের জটলা বেশি ছিল। এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। আব্বাসের সঙ্গে অনেক নেতা-কর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হন।

বিএনপির সমাবেশ নিয়ে রাজনীতি অঙ্গনে তুমুল আলোচনা চলছে। বিএনপি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায়। অন্যদিকে সরকার সেখানে সমাবেশ করতে দিতে নারাজ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে বিএনপি বলছে, তারা সেখানে সমাবেশ করবে না। বিকল্প হিসেবে তারা আরামবাগের কথা বললেও পুলিশ বলছে রাস্তায় কোনোভাবেই সমাবেশ করা যাবে না।