০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে মসজিদসমূহের কমিটিও ছিল দলীয় লোকদের দখলে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৬৪৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যারা ইসলামের যথাযথ জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি নিয়মিত মসজিদে গিয়ে জামায়াতের সাথে সালাত আদায় করেন, তাদেরই আল্লাহর ঘর মসজিদসমূহের পরিচালনা কমিটিতে থাকার কথা। কিন্তু উল্টোটা ঘটেছে নোয়াখালীর চাটখিলে অবস্থিত কড়িহাটি বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় মসজিদসমূহও দলীয় লোকদের দিয়ে কমিটির নামে দখলে রাখে। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার গণ অভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে মসজিদগুলোও মুসল্লিদের নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকে। কড়িহাটি বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের নতুন কমিটিকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।

নোয়াখালীর চাটখিলে অবস্থিত কড়িহাটি বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। মসজিদটি সালে ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০৫ সালে এর দুইতলা ভবনসহ পুনর্নিমাণ করেন এসএ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ। মসজিদটি এখন অত্র এলাকার সুন্দরতম মসজিদ হিসেবে পরিচিত।

মসজিদটি দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা নিয়ন্ত্রণে রাখেন। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর স্থানীয় মুসুল্লিরা অধ্যক্ষ মাওলানা ছাইফ উল্যাহকে সভাপতি করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। কিন্তু বিগত কমিটির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম দুলালসহ তার দোসররা বর্তমান কমিটিকে বিতর্কিত করতে ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় মুসুল্লিদের।

মুসুল্লিরা বলছেন, যারা মসজিদে এসে নামায আদায় করবে এবং ইসলাম সম্পর্কে যথাযথ ধারনা রাখেন তারাই হবে মসজিদ পরিচালনা কমিটিতে থাকবেন।

তাই মসজিদ নিয়ে রাজনীতি না করে সবাইকে আলেম ওলামাদের ওপর আস্থা রাখার আহবান জানায় বর্তমান কমিটি।

যারা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন তারা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ ও মর্যাদার ব্যাপারে কড়া নযর রাখবেন। তারা মুতাওয়াল্লীর দায়িত্ব পালন করবেন। সেটা যেন দুর্নীতিবাজদের আড্ডায় পরিণত না হয়। আল্লাহর ঘর মসজিদ যেন কুরআন ও সহীহ হাদীসের প্রচার কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হয় এমনটায় প্রত্যাশা সাধারণ মুসল্লিদের।

 

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে মসজিদসমূহের কমিটিও ছিল দলীয় লোকদের দখলে

আপডেট সময় : ১২:০৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

যারা ইসলামের যথাযথ জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি নিয়মিত মসজিদে গিয়ে জামায়াতের সাথে সালাত আদায় করেন, তাদেরই আল্লাহর ঘর মসজিদসমূহের পরিচালনা কমিটিতে থাকার কথা। কিন্তু উল্টোটা ঘটেছে নোয়াখালীর চাটখিলে অবস্থিত কড়িহাটি বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় মসজিদসমূহও দলীয় লোকদের দিয়ে কমিটির নামে দখলে রাখে। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার গণ অভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে মসজিদগুলোও মুসল্লিদের নিয়ন্ত্রণে আসতে থাকে। কড়িহাটি বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের নতুন কমিটিকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।

নোয়াখালীর চাটখিলে অবস্থিত কড়িহাটি বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। মসজিদটি সালে ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০৫ সালে এর দুইতলা ভবনসহ পুনর্নিমাণ করেন এসএ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ। মসজিদটি এখন অত্র এলাকার সুন্দরতম মসজিদ হিসেবে পরিচিত।

মসজিদটি দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা নিয়ন্ত্রণে রাখেন। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর স্থানীয় মুসুল্লিরা অধ্যক্ষ মাওলানা ছাইফ উল্যাহকে সভাপতি করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। কিন্তু বিগত কমিটির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম দুলালসহ তার দোসররা বর্তমান কমিটিকে বিতর্কিত করতে ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় মুসুল্লিদের।

মুসুল্লিরা বলছেন, যারা মসজিদে এসে নামায আদায় করবে এবং ইসলাম সম্পর্কে যথাযথ ধারনা রাখেন তারাই হবে মসজিদ পরিচালনা কমিটিতে থাকবেন।

তাই মসজিদ নিয়ে রাজনীতি না করে সবাইকে আলেম ওলামাদের ওপর আস্থা রাখার আহবান জানায় বর্তমান কমিটি।

যারা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন তারা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ ও মর্যাদার ব্যাপারে কড়া নযর রাখবেন। তারা মুতাওয়াল্লীর দায়িত্ব পালন করবেন। সেটা যেন দুর্নীতিবাজদের আড্ডায় পরিণত না হয়। আল্লাহর ঘর মসজিদ যেন কুরআন ও সহীহ হাদীসের প্রচার কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হয় এমনটায় প্রত্যাশা সাধারণ মুসল্লিদের।