বিগত বছরগুলোতে পেয়াজ চাষে আগ্রহ হারায় রংপুরের কৃষকরা
- আপডেট সময় : ০২:৩৭:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০
- / ১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ঘাটতি, মৌসুমেও বিপুল আমদানী ও উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম না পাওয়ায়, বিগত বছরগুলোতে পেয়াজ চাষে আগ্রহ হারায় রংপুরের কৃষকরা। তবে চলতি বছর দামের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ায়, আবারও পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন তারা।
রংপুর অঞ্চলে ক্রমেই কমছে পেঁয়াজ আবাদ। কৃষিবিভাগের তথ্যমতে, ২০১৫-১৬ মৌসুমে পেঁয়াজ আবাদ হয় ৭ হাজার ১শ ২৫ হেক্টর জমিতে। যা ২০১৬-১৭ তে কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪শ ৭৮ হেক্টরে। ২০১৭-১৮ তে আরো কমে আবাদ হয় ৬ হাজার ৩শ ৩৫ হেক্টরে আর ২০১৮-১৯শে হয় ৬ হাজার ১শ ৪২ হেক্টর জমিতে।
বিগত বছরগুলোতে লোকসান গুনলেও চলতি বছর ভাল দাম পাওয়ায়, আবারও পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।
বছরে রংপুরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৩ হাজার ২শ ৮৭ মেট্রিক টন। উৎপাদিত পন্য দ্বারা জেলার চাহিদা মেটানো সম্ভব হলেও, সমষ্টিক চাহিদার বিপরীতে ঘাটতি থাকে বছর জুড়েই।
চাষের উপযোগী অঞ্চলকে গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি সংরক্ষনাগারসহ প্রনোদনা দিলে কৃষকরা পেয়াজ আবাদে উৎসাহিত হবে বলে মনে করেন কৃষিবিদরা।
কৃষকদের লাভবান করতে ও ভোক্তা পর্যায়ে দাম সহনীয় রাখতে আমদানী নির্ভরশীলতা কমিয়ে পেঁয়াজ উৎপাদন ও সংরক্ষণে গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা।