বিজিবি-কোস্টগার্ডের কড়া নজরদারির মধ্যেও বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে রোহিঙ্গারা
- আপডেট সময় : ১০:১১:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১৬৬১ বার পড়া হয়েছে
মিয়ানমারে সামরিক জান্তা-আরাকান আর্মির সংঘাতে দুই সপ্তাহে প্রায় ১৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। কক্সবাজার ও বান্দরবানের অন্তত: ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। অন্যদিকে সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে আরও প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আবারও অনুপ্রবেশের এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে হুমকির মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশ।
এ দৃশ্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত লাগোয়া মেরিন ড্রাইভের। ছবির মানুষগুলো মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা। স্থলভাগ সীমান্তে বিজিবির কিছুটা কড়াকড়ি অবস্থান থাকায় ফিশিং ট্রলার নিয়ে তারা সাগর পথে কৌশলে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। এ রকম আরও বহু অনুপ্রেবেশের গল্প এখনো অজানা।
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ৩ সেপ্টেম্বর নতুন করে ৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে জানিয়ে এই অনুপ্রবেশ কীভাবে ঠেকানো যায়, সেই চেষ্টার উপর গুরুত্বারোপ করেন। কিন্তু পরবর্তী এক সপ্তাহের ব্যবধানে আশ্রিতের সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ হাজার।
শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আরও জানান, মংডু সীমান্তে আরও ৬০ থেকে ৭০ হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের কড়া নজরদারির মধ্যেও নানা কৌশলে তারা বাংলাদেশে ঢুকছে। যেখানে নগদ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে নতুন রোহিঙ্গাদের ঢুকতে সাহায্য করছে চিহ্নিত কিছু দালাল।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর আশ্রয় নেয়া সাড়ে ৭ লাখসহ নতুন পুরনো মিলিয়ে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। যদিও সরকারি নিবন্ধনে এ সংখ্যা ১২ লাখ।