০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

বিটিআই স্টেলার উইমেন: একটি দুঃসাহসিক উদ্যোগ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৮:১২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট কোম্পানি হিসেবে বিটিআই বরাবরই এমন অত্যাধুনিক সব আইডিয়া নিয়ে কাজ করে যেগুলো আমাদের দেশ ও জাতিতে আমুল পরিবর্তন বয়ে আনছে এবং ভবিষ্যতেও আনতেই থাকবে। সূচনা থেকেই বিটিআই নারীদের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে কাজ করছে, এবং স্টেলার উইমেন উদ্যোগটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনেও হাত রয়েছে এই মূল্যবোধেরই। যেহেতু বিটিআই-এর নিজস্ব চিন্তা থেকে আসে স্টেলার উইমেন ইনিশিয়েটিভ। তাই বিটিআই বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইংরেজি খবরের কাগজ ডেইলি স্টারের সাথে কোলাবোরেশন করার ইচ্ছা প্রকাশ করে; যেন ডেইলি স্টার প্রতিটি ধাপে বিটিআইকে সকল উপায়ে সহযোগিতা করে।

২০২২ সালের শেষের দিকে নেয়া এই উদ্যোগটি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট কোম্পানি দ্বারা নেয়া একটি ভিন্নমাত্রার আইডিয়া। এই আইডিয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল জীবনের নানা কর্মক্ষেত্র থেকে এমন সকল উদীয়মান এবং প্রতিভাবান নারীদেরকে সম্মাননা দেয়া যারা সমাজের উন্নয়নে ইতিবাচক এবং প্রভাবশালী অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এই ইনিশিয়েটিভকে ১০০% নির্ভেজাল এবং পক্ষপাতিত্ববিহীন রাখতে বিটিআই বা ডেইলি স্টারের সাথে কোনোরকম সম্পৃক্ততাবিহীন একটি জুরি প্যানেল প্রতিটি ক্যাটাগরির বিজয়ী বাছাই করেন। মূলত এই উদ্যোগের স্বচ্ছতা রক্ষা করার জন্য এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। বিটিআই স্টেলার উইমেন-এর মত দৃষ্টান্তমূলক একটি উদ্যোগের মাধ্যমে অসংখ্য নারীরা স্ব-স্ব-কর্মক্ষেত্রে কাজ করার জন্য যোগ্য সম্মাননা পাওয়ার সুযোগ পান।

১২টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১২জন নারীকে সমাজে তাদের অবদানের জন্য সুযোগ্য সম্মাননা দেয়াই এই উদ্দেশ্যের লক্ষ্য। এখানে এমন সব সম্ভাবনাময় নারীদেরকে খুঁজে বের করা হয় যারা সঠিক প্রেরণা এবং উৎসাহ পেলে আরো বহুদূর এগিয়ে যেতে পারবেন, এবং আগামীতে তারা অন্য সম্ভাবনাময় নারীদের জন্য হতে পারবেন পথপ্রদর্শক

 এই উদ্যোগের পেছনে ৩টি যুক্তি আছে, যথা:

১। প্রত্যেকটি নারীকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সকল সহকর্মী, পরিচিতদের এবং পুরো বিশ্বের মাঝে নিজের প্রতিভা তুলে ধরার একটি চমৎকার সুযোগ করে দেয়া

২। একটি সহযোগি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এসকল নারীদেরকে নিজেদের কাজের পরিধি বাড়ানোর সুযোগ করে দেয়া

৩। প্রতিটি ক্যাটাগরির বিজয়ীকে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করার জন্য  একটি নগদ পুরষ্কার দেয়া হয় তাদেরকে নিজের প্রতিষ্ঠান/ উদ্যোগের উদ্দেশ্যে 

১২ মাসের কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের ফলশ্রুতিতে জুরি প্যানেল প্রতিটি ক্যাটাগরিতে ১ জন করে ১২জন বিজয়ী নির্ণয় করেন, যাদের প্রত্যেক ছোট করে উইনার অ্যানাউন্সমেন্টের একটি অনুষ্ঠানে সম্মাননা দেয়া হয়।

এই ১২জন স্টেলার উইমেনকে সেলিব্রেট করতে একটি জাঁকজমকপূর্ণ গালা অনুষ্ঠিত হয় কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ব্যাঙ্কুয়েট হলে। এই তারকাখচিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন নামিদামী ব্যক্তিত্ব, নিজেদের পরিবারসহ সকল বিজয়ীরা, এবং বিটিআই ও দ্য ডেইলি স্টারের উচ্চপদস্থ সকল কর্মকর্তারা। 

গত বছরের গালা অনুষ্ঠানের সাফল্যের পর এবছর সিজন ২ অনেক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে শুরু করা হয়। এবছরের বিটিআই দ্য ডেইলি স্টার স্টেলার উইমেন সিজন ২ এর নমিনেশন এবং রেজিস্ট্রেশন ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। যেসব নারীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছোটখাটো আইডিয়া নিয়েও কাজ করেছেন, সেসকল নারীরাও যাতে নিজেদের প্রতিভার জন্য যথাযথ সম্মাননা পান, সেই লক্ষ্যেই প্রতি বছর ক্যাটাগরিগুলো কিছুটা অদল-বদল করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দ্বিতীয় সিজনের ক্যাটাগরিসমূহের নাম নিচে দেয়া হলো:

লেখিকা

যেসব লেখিকাদের অন্তত একটি প্রকাশিত বই ২০২৩ ফেব্রুয়ারী থেকে ২০২৪ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে সফলভাবে ছাপা হয়েছে, তারা এই ক্যাটাগরিতে রেজিস্ট্রেশন/ নমিনেশনের উপযোগী।

উদ্যোক্তা

যেসকল নারী উদ্যোক্তারা সফলভাবে নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন (একা, অথবা কোনো সফল দলের এক অংশ হিসেবে) নিজেদের রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন, তবে অর্থনীতি, সমাজ অথবা জাতির উন্নয়নের উদ্দেশ্যে সামগ্রিক ইতিবাচক অবদান রেখেছেন।  

ইন্টেরিয়র ও ল্যান্ডস্কেপিং আর্কিটেক্ট: 

৩ থেকে ৫টি প্রজেক্ট সফলভাবে শেষ করা ইন্টেরিয়র ও ল্যান্ডস্কেপিং আর্কিটেক্টরা এই ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে পারবেন, অথবা অন্যদেরকে নমিনেটও করতে পারবেন। আইএবি-এর অ্যাসোশিয়েট মেম্বারশিপ থাকা খুব জরুরী।                                                          

মার্কেটিং প্রফেশনাল:

কর্পোরেট, এসএমই অথবা এজেন্সীতেসমূহে কাজ করা স্পম্ভাবনাময় সকল নারী মার্কেটিং প্রফেশনাল নিজেদের পাশাপাশি অন্যদেরকেও নমিনেট করতে পারেন। সমাজে নিজের কাজের মাধ্যমে ইতিবাচক অবদান রেখে থাকতে হবে।

খেলাধূলা:

২০২৩ সালে দেশে-বিদেশে খেলাধূলায় যারা বড় কোনো অবদান রেখেছেন, শুধুমাত্র তাদেরকে এই ক্যাটাগরিতে বিবেচনা করা হবে।

আর্কিটেক্ট (রেসিডেনশিয়াল ও কমার্শিয়াল):  

সকল রেসিডেনশিয়াল ও কমার্শিয়াল আর্কিটেক্ট যারা এই ক্যাটাগরিতে আবেদন করবেন, তাদের নূন্যতম দুইটি সফলভাবে শেষ করা প্রজেক্ট থাকতে বে। এর পাশাপাশি তাদের আইএবি-এর পূর্ণ সদস্যপদ থাকতে হবে, এবং সমাজে তাদের কাজের কোনো অতিবাচক প্রভাব থাকতে হবে।

শিল্প ও সংস্কৃতি: 

যেসব নারীরা শিল্প এবং সংস্কৃতিতে কাজ করে চলেছেন, এবং তাদের কাজের ইতিবাচক প্রভাব সমাজের আদল পালটে দিয়েছে, তাদেরকে এই সম্মাননার জন্য নির্বাচন করা হবে।

প্রকৌশল (কন্সট্রাকশন, স্ট্রাকচার, পানিসম্পদ এবং এমইপি):    

এই ৪ ধরনের যেকোনো প্রকৌশলী এই ক্যাটাগরিতে রেজিস্টার করতে পারবেন। তাদেরকে এমন কোনো প্রজেক্টে কাজ করে থাকতে হবে যা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

ব্যাংক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান: 

এই ক্যাটাগরিতে এমন সকল নারীদেরকে বিবেচনা করা হবে যারা ব্যাংক বা অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, এবং তাদের নেয়া কোনো পদক্ষেপ সমাজকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে বা অবদান রাখছে।  

স্বাস্থ্যসেবা

যেসব নারী স্বাস্থ্যসেবা কর্মকর্তারা সমাজে ইতিবাচক অবদান রেখেছেন, বিশেষ করে ২০২৩ সালে, তাদেরকে এই সম্মাননার জন্য বিবেচনা করা হবে। তারা নিজেদের মত স্বাস্থসেবায় কর্মরত অন্য নারীদেরকেও নমিনেট করতে পারবেন।   

পরিবেশ:

এই ক্যাটাগরিতে সেসব নারীদেরকে বিবেচনা করা হবে যারা ব্যক্তিগতভাবে বা কর্মসূত্রে পরিবেশ নিয়ে কাজ করেছেন, এবং যেই কাজের ইতিবাচক প্রভাব সমাজ, এলাকা বা পৃথিবীর উপরে পড়েছে। তাদের বিশেষ অর্জনের প্রমাণ নমিনেশন বা রেজিস্ট্রেশন ফর্মের সাথে জমা দিতে হবে। 

কৃষি: 

কৃষিখাতে যারা দূর্দান্ত কাজের ছাপ ফেলেছেন, এই ক্যাটাগরিতে তাদেরকেই বিবেচনা করা হবে। অবশ্যই তাদের সেই অর্জনের এলাকা, সমাজ, দেশ বা সামগ্রিক বিশ্বের উপরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকতে হবে। এই অর্জনের জন্য কোনো বিশেষ সার্টিফিকেট থাকলে সেটির কপিও জমা দেয়া যেতে পারে।          

https://btistellarwomen.thedailystar.net এ ভিজিট করে দেখুন আপনি এগুলো ক্যাটাগরিতে পড়েন কি না, এবং তা যদি হয়, তবে আজই নিজের রেজিস্ট্রেশন সেরে ফেলুন! এছাড়াও নিজের আশেপাশের অন্যান্য নারীদের নমিনেশনও পাঠিয়ে দিতে পারেন। প্রতিটি ক্যাটাগরির সাথে সম্পর্কিত সকল তথ্য (সাবমিশনের শেষ তারিখ সহ) উপরে দেয়া মাইক্রোসাইটেই পাওয়া যাবে।

বিটিআই দ্য ডেইলি স্টার স্টেলার উইমেন একটি অনন্য প্রচেষ্টা, যার মূল লক্ষ্য হলো নারীদের ক্ষমতায়ন। বিটিআই নারীদের ক্ষমতায়নে শুধু বিশ্বাসীই না, সেই লক্ষ্যে অবিরাম কাজও করে চলেছে। এই উদ্যোগ পরিপূর্ণভাবে নির্ভেজাল এবং পক্ষপাতিত্ত্ববিহীন রাখতে এই পদক্ষেপে নিজেদের সঙ্গী হিসেবে বিটিআই ডেইলি স্টারকে বেছে নেয়। এই উদ্যোগটি নানা ক্ষেত্রে কর্মরত উদীয়মান নারীদের প্রতিভাকে যথাযথ সম্মাননা দেয়ার প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতের উদীয়মান প্রতিভারাও এখানে নিজেদের নাম দেয়ার আগ্রহ খুঁজে পাবেন।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিটিআই স্টেলার উইমেন: একটি দুঃসাহসিক উদ্যোগ

আপডেট সময় : ০৮:১২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট কোম্পানি হিসেবে বিটিআই বরাবরই এমন অত্যাধুনিক সব আইডিয়া নিয়ে কাজ করে যেগুলো আমাদের দেশ ও জাতিতে আমুল পরিবর্তন বয়ে আনছে এবং ভবিষ্যতেও আনতেই থাকবে। সূচনা থেকেই বিটিআই নারীদের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে কাজ করছে, এবং স্টেলার উইমেন উদ্যোগটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনেও হাত রয়েছে এই মূল্যবোধেরই। যেহেতু বিটিআই-এর নিজস্ব চিন্তা থেকে আসে স্টেলার উইমেন ইনিশিয়েটিভ। তাই বিটিআই বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইংরেজি খবরের কাগজ ডেইলি স্টারের সাথে কোলাবোরেশন করার ইচ্ছা প্রকাশ করে; যেন ডেইলি স্টার প্রতিটি ধাপে বিটিআইকে সকল উপায়ে সহযোগিতা করে।

২০২২ সালের শেষের দিকে নেয়া এই উদ্যোগটি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট কোম্পানি দ্বারা নেয়া একটি ভিন্নমাত্রার আইডিয়া। এই আইডিয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল জীবনের নানা কর্মক্ষেত্র থেকে এমন সকল উদীয়মান এবং প্রতিভাবান নারীদেরকে সম্মাননা দেয়া যারা সমাজের উন্নয়নে ইতিবাচক এবং প্রভাবশালী অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এই ইনিশিয়েটিভকে ১০০% নির্ভেজাল এবং পক্ষপাতিত্ববিহীন রাখতে বিটিআই বা ডেইলি স্টারের সাথে কোনোরকম সম্পৃক্ততাবিহীন একটি জুরি প্যানেল প্রতিটি ক্যাটাগরির বিজয়ী বাছাই করেন। মূলত এই উদ্যোগের স্বচ্ছতা রক্ষা করার জন্য এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। বিটিআই স্টেলার উইমেন-এর মত দৃষ্টান্তমূলক একটি উদ্যোগের মাধ্যমে অসংখ্য নারীরা স্ব-স্ব-কর্মক্ষেত্রে কাজ করার জন্য যোগ্য সম্মাননা পাওয়ার সুযোগ পান।

১২টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১২জন নারীকে সমাজে তাদের অবদানের জন্য সুযোগ্য সম্মাননা দেয়াই এই উদ্দেশ্যের লক্ষ্য। এখানে এমন সব সম্ভাবনাময় নারীদেরকে খুঁজে বের করা হয় যারা সঠিক প্রেরণা এবং উৎসাহ পেলে আরো বহুদূর এগিয়ে যেতে পারবেন, এবং আগামীতে তারা অন্য সম্ভাবনাময় নারীদের জন্য হতে পারবেন পথপ্রদর্শক

 এই উদ্যোগের পেছনে ৩টি যুক্তি আছে, যথা:

১। প্রত্যেকটি নারীকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সকল সহকর্মী, পরিচিতদের এবং পুরো বিশ্বের মাঝে নিজের প্রতিভা তুলে ধরার একটি চমৎকার সুযোগ করে দেয়া

২। একটি সহযোগি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এসকল নারীদেরকে নিজেদের কাজের পরিধি বাড়ানোর সুযোগ করে দেয়া

৩। প্রতিটি ক্যাটাগরির বিজয়ীকে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করার জন্য  একটি নগদ পুরষ্কার দেয়া হয় তাদেরকে নিজের প্রতিষ্ঠান/ উদ্যোগের উদ্দেশ্যে 

১২ মাসের কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের ফলশ্রুতিতে জুরি প্যানেল প্রতিটি ক্যাটাগরিতে ১ জন করে ১২জন বিজয়ী নির্ণয় করেন, যাদের প্রত্যেক ছোট করে উইনার অ্যানাউন্সমেন্টের একটি অনুষ্ঠানে সম্মাননা দেয়া হয়।

এই ১২জন স্টেলার উইমেনকে সেলিব্রেট করতে একটি জাঁকজমকপূর্ণ গালা অনুষ্ঠিত হয় কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ব্যাঙ্কুয়েট হলে। এই তারকাখচিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন নামিদামী ব্যক্তিত্ব, নিজেদের পরিবারসহ সকল বিজয়ীরা, এবং বিটিআই ও দ্য ডেইলি স্টারের উচ্চপদস্থ সকল কর্মকর্তারা। 

গত বছরের গালা অনুষ্ঠানের সাফল্যের পর এবছর সিজন ২ অনেক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে শুরু করা হয়। এবছরের বিটিআই দ্য ডেইলি স্টার স্টেলার উইমেন সিজন ২ এর নমিনেশন এবং রেজিস্ট্রেশন ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। যেসব নারীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছোটখাটো আইডিয়া নিয়েও কাজ করেছেন, সেসকল নারীরাও যাতে নিজেদের প্রতিভার জন্য যথাযথ সম্মাননা পান, সেই লক্ষ্যেই প্রতি বছর ক্যাটাগরিগুলো কিছুটা অদল-বদল করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দ্বিতীয় সিজনের ক্যাটাগরিসমূহের নাম নিচে দেয়া হলো:

লেখিকা

যেসব লেখিকাদের অন্তত একটি প্রকাশিত বই ২০২৩ ফেব্রুয়ারী থেকে ২০২৪ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে সফলভাবে ছাপা হয়েছে, তারা এই ক্যাটাগরিতে রেজিস্ট্রেশন/ নমিনেশনের উপযোগী।

উদ্যোক্তা

যেসকল নারী উদ্যোক্তারা সফলভাবে নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন (একা, অথবা কোনো সফল দলের এক অংশ হিসেবে) নিজেদের রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন, তবে অর্থনীতি, সমাজ অথবা জাতির উন্নয়নের উদ্দেশ্যে সামগ্রিক ইতিবাচক অবদান রেখেছেন।  

ইন্টেরিয়র ও ল্যান্ডস্কেপিং আর্কিটেক্ট: 

৩ থেকে ৫টি প্রজেক্ট সফলভাবে শেষ করা ইন্টেরিয়র ও ল্যান্ডস্কেপিং আর্কিটেক্টরা এই ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে পারবেন, অথবা অন্যদেরকে নমিনেটও করতে পারবেন। আইএবি-এর অ্যাসোশিয়েট মেম্বারশিপ থাকা খুব জরুরী।                                                          

মার্কেটিং প্রফেশনাল:

কর্পোরেট, এসএমই অথবা এজেন্সীতেসমূহে কাজ করা স্পম্ভাবনাময় সকল নারী মার্কেটিং প্রফেশনাল নিজেদের পাশাপাশি অন্যদেরকেও নমিনেট করতে পারেন। সমাজে নিজের কাজের মাধ্যমে ইতিবাচক অবদান রেখে থাকতে হবে।

খেলাধূলা:

২০২৩ সালে দেশে-বিদেশে খেলাধূলায় যারা বড় কোনো অবদান রেখেছেন, শুধুমাত্র তাদেরকে এই ক্যাটাগরিতে বিবেচনা করা হবে।

আর্কিটেক্ট (রেসিডেনশিয়াল ও কমার্শিয়াল):  

সকল রেসিডেনশিয়াল ও কমার্শিয়াল আর্কিটেক্ট যারা এই ক্যাটাগরিতে আবেদন করবেন, তাদের নূন্যতম দুইটি সফলভাবে শেষ করা প্রজেক্ট থাকতে বে। এর পাশাপাশি তাদের আইএবি-এর পূর্ণ সদস্যপদ থাকতে হবে, এবং সমাজে তাদের কাজের কোনো অতিবাচক প্রভাব থাকতে হবে।

শিল্প ও সংস্কৃতি: 

যেসব নারীরা শিল্প এবং সংস্কৃতিতে কাজ করে চলেছেন, এবং তাদের কাজের ইতিবাচক প্রভাব সমাজের আদল পালটে দিয়েছে, তাদেরকে এই সম্মাননার জন্য নির্বাচন করা হবে।

প্রকৌশল (কন্সট্রাকশন, স্ট্রাকচার, পানিসম্পদ এবং এমইপি):    

এই ৪ ধরনের যেকোনো প্রকৌশলী এই ক্যাটাগরিতে রেজিস্টার করতে পারবেন। তাদেরকে এমন কোনো প্রজেক্টে কাজ করে থাকতে হবে যা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

ব্যাংক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান: 

এই ক্যাটাগরিতে এমন সকল নারীদেরকে বিবেচনা করা হবে যারা ব্যাংক বা অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন, এবং তাদের নেয়া কোনো পদক্ষেপ সমাজকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে বা অবদান রাখছে।  

স্বাস্থ্যসেবা

যেসব নারী স্বাস্থ্যসেবা কর্মকর্তারা সমাজে ইতিবাচক অবদান রেখেছেন, বিশেষ করে ২০২৩ সালে, তাদেরকে এই সম্মাননার জন্য বিবেচনা করা হবে। তারা নিজেদের মত স্বাস্থসেবায় কর্মরত অন্য নারীদেরকেও নমিনেট করতে পারবেন।   

পরিবেশ:

এই ক্যাটাগরিতে সেসব নারীদেরকে বিবেচনা করা হবে যারা ব্যক্তিগতভাবে বা কর্মসূত্রে পরিবেশ নিয়ে কাজ করেছেন, এবং যেই কাজের ইতিবাচক প্রভাব সমাজ, এলাকা বা পৃথিবীর উপরে পড়েছে। তাদের বিশেষ অর্জনের প্রমাণ নমিনেশন বা রেজিস্ট্রেশন ফর্মের সাথে জমা দিতে হবে। 

কৃষি: 

কৃষিখাতে যারা দূর্দান্ত কাজের ছাপ ফেলেছেন, এই ক্যাটাগরিতে তাদেরকেই বিবেচনা করা হবে। অবশ্যই তাদের সেই অর্জনের এলাকা, সমাজ, দেশ বা সামগ্রিক বিশ্বের উপরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকতে হবে। এই অর্জনের জন্য কোনো বিশেষ সার্টিফিকেট থাকলে সেটির কপিও জমা দেয়া যেতে পারে।          

https://btistellarwomen.thedailystar.net এ ভিজিট করে দেখুন আপনি এগুলো ক্যাটাগরিতে পড়েন কি না, এবং তা যদি হয়, তবে আজই নিজের রেজিস্ট্রেশন সেরে ফেলুন! এছাড়াও নিজের আশেপাশের অন্যান্য নারীদের নমিনেশনও পাঠিয়ে দিতে পারেন। প্রতিটি ক্যাটাগরির সাথে সম্পর্কিত সকল তথ্য (সাবমিশনের শেষ তারিখ সহ) উপরে দেয়া মাইক্রোসাইটেই পাওয়া যাবে।

বিটিআই দ্য ডেইলি স্টার স্টেলার উইমেন একটি অনন্য প্রচেষ্টা, যার মূল লক্ষ্য হলো নারীদের ক্ষমতায়ন। বিটিআই নারীদের ক্ষমতায়নে শুধু বিশ্বাসীই না, সেই লক্ষ্যে অবিরাম কাজও করে চলেছে। এই উদ্যোগ পরিপূর্ণভাবে নির্ভেজাল এবং পক্ষপাতিত্ত্ববিহীন রাখতে এই পদক্ষেপে নিজেদের সঙ্গী হিসেবে বিটিআই ডেইলি স্টারকে বেছে নেয়। এই উদ্যোগটি নানা ক্ষেত্রে কর্মরত উদীয়মান নারীদের প্রতিভাকে যথাযথ সম্মাননা দেয়ার প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতের উদীয়মান প্রতিভারাও এখানে নিজেদের নাম দেয়ার আগ্রহ খুঁজে পাবেন।