বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ভারতে ১৪তম দিনেও বিক্ষোভ অব্যাহত
- আপডেট সময় : ০৭:৪৭:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ভারতে ১৪তম দিনেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ মিছিলে অংশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ধর্মের নামে ‘৪৭-এর পর আবারো ভারত বিভাজনের রাজনীতিতে নেমেছে বিজেপি। আর এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে এক মঞ্চে আন্দোলন করতে কংগ্রেসসহ সকল বিরোধী দলের প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। এদিকে, ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে জনসংখ্যা তালিকা হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
শুধু অমুসলিমদের নাগরিকত্বের বিধান রেখে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশের পর গেলো ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে আইনে পরিণত হয় বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। এরপর থেকেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ।
বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে সবচেয়ে সবর কংগ্রেসসহ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আইনের বিরদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে এক মঞ্চে আন্দোলন করতে বিজেপি-বিরোধী সব দলের প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।
আর দু’দিন বিরতি দেয়ার পর আবারও পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপূর্ণ মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ধর্মের নামে বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, ভোটের মাধ্যমে এরইমধ্যে ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনে বিজেপির বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের জবাব দিয়েছে জনগণ ।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি’র অন্যতম শীর্ষ নেতা ও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের নাতি চন্দ্র কুমার বোস বলেন, ভারত সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত একটি দেশ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে কেনো মুসলিমদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এই বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
যখন ভারতজুড়ে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে জনগণ। ঠিক তখনিই ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশটির জনসংখ্যা তালিকা হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি সরকার।