০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

‘বিদেশিরা কখনোই আমাদের সমস্যার সমাধান দিতে পারেনি’

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩
  • / ১৫৫০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিদেশিদের নানা ধরনের তৎপরতা শুরু হয়েছে৷ এ নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন৷

আগামী সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিদেশিদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। এই তৎপরতাকে আপনি কীভাবে দেখেন?

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন : আমার ব্যক্তিগত মত হল, এটা নিদারুন অপছন্দ৷ এটা যে নতুন কিছু তা না৷ এটা হচ্ছে, মাঝখানে ছিল না, আবার শুরু হয়েছে৷ এটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়৷

আমাদের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল তো ইতিমধ্যে বিদেশিদের কাছে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে৷ অনেকগুলো বৈঠকও হয়েছে৷ তাহলে আমরাই কী তাদের হস্তক্ষেপের জন্য ডেকে আনছি না?

এ কথার মধ্যে অনেকটা সত্যতা আছে৷ এক সময় বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলই কখনও না কখনও বিদেশি দূতাবাসে গেছে। বিদেশিরা তাদের পক্ষে কিছু বললে খুশি হয়েছে৷ এটা আমি ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে অস্বীকার করতে পারব না৷ কিন্তু কখনই আমাদের কাছে, ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে এটা গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি৷ কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর সময়ের জেনারেশন৷ আমরা ওই সময় তো এতো নিদারুন কষ্ট দেখিনি যে, বিদেশিরা কখনও কোন কথা বলার সাহস পেয়েছে৷

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ বা অংশগ্রহণ কোন সময় থেকে শুরু হয়েছে?

এটা সঠিকভাবে আমি বলতে পারব না৷ তবে একটা কথা বলতে পারি, বঙ্গবন্ধুর অনেক সমালোচনা আমরা করতে পারি, তার আত্মমর্যাদা জ্ঞান এখন প্রখর ছিল যে, কোন বিদেশি এখানে কিছু বলবে সেই সাহস কারও ছিল না৷ এখানে ব্যক্তিত্বের ব্যাপারও আসে। আমার মনে হয়, খুব সম্ভবত জিয়াউর রহমানের আমলের শেষের দিকে বা এরশাদ সরকারের সময়। আমরা তখন স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পেতে বিদেশিদের কাছে ধরণা দেওয়া শুরু করেছিলাম৷ সেই ধারা এখনও চলছে৷ এটার অবসান হওয়া বাঞ্ছনীয়৷

বাংলাদেশের জন্মের পর সামরিক শাসন, স্বৈরশাসনসহ নানা ধরনের সংকট হয়েছে। কিন্তু বিদেশিদের হস্তক্ষেপে কী আমরা কখনও সমাধান পেয়েছি?

কখনই পাইনি৷ কোন সময় ঠিক খেয়াল নেই, বিএনপির সময় বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জাতিসংঘ থেকেও দূত প্রেরণ করা হয়েছিল, তখনও কোন কাজ হয়নি৷ আমার মনে হয়, মূল সমস্যাটা অন্যখানে৷ সারাবিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে স্বাধীনতার পক্ষের এবং স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি আছে৷ পৃথিবীর কোন দেশে তা নেই৷ ভারতেও নেই৷ সব যদি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হয় তাহলে একটা মীমাংসায় পৌঁছানো যায়৷ কিন্তু বিপরীত দিকে যদি একটা অবস্থান থাকে তাহলে তো মিলতে পারে না৷ সংকটটা এখানেই তৈরি হয়েছে৷

 

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘বিদেশিরা কখনোই আমাদের সমস্যার সমাধান দিতে পারেনি’

আপডেট সময় : ০৪:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিদেশিদের নানা ধরনের তৎপরতা শুরু হয়েছে৷ এ নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন৷

আগামী সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিদেশিদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। এই তৎপরতাকে আপনি কীভাবে দেখেন?

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন : আমার ব্যক্তিগত মত হল, এটা নিদারুন অপছন্দ৷ এটা যে নতুন কিছু তা না৷ এটা হচ্ছে, মাঝখানে ছিল না, আবার শুরু হয়েছে৷ এটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়৷

আমাদের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল তো ইতিমধ্যে বিদেশিদের কাছে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে৷ অনেকগুলো বৈঠকও হয়েছে৷ তাহলে আমরাই কী তাদের হস্তক্ষেপের জন্য ডেকে আনছি না?

এ কথার মধ্যে অনেকটা সত্যতা আছে৷ এক সময় বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলই কখনও না কখনও বিদেশি দূতাবাসে গেছে। বিদেশিরা তাদের পক্ষে কিছু বললে খুশি হয়েছে৷ এটা আমি ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে অস্বীকার করতে পারব না৷ কিন্তু কখনই আমাদের কাছে, ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে এটা গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি৷ কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর সময়ের জেনারেশন৷ আমরা ওই সময় তো এতো নিদারুন কষ্ট দেখিনি যে, বিদেশিরা কখনও কোন কথা বলার সাহস পেয়েছে৷

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ বা অংশগ্রহণ কোন সময় থেকে শুরু হয়েছে?

এটা সঠিকভাবে আমি বলতে পারব না৷ তবে একটা কথা বলতে পারি, বঙ্গবন্ধুর অনেক সমালোচনা আমরা করতে পারি, তার আত্মমর্যাদা জ্ঞান এখন প্রখর ছিল যে, কোন বিদেশি এখানে কিছু বলবে সেই সাহস কারও ছিল না৷ এখানে ব্যক্তিত্বের ব্যাপারও আসে। আমার মনে হয়, খুব সম্ভবত জিয়াউর রহমানের আমলের শেষের দিকে বা এরশাদ সরকারের সময়। আমরা তখন স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পেতে বিদেশিদের কাছে ধরণা দেওয়া শুরু করেছিলাম৷ সেই ধারা এখনও চলছে৷ এটার অবসান হওয়া বাঞ্ছনীয়৷

বাংলাদেশের জন্মের পর সামরিক শাসন, স্বৈরশাসনসহ নানা ধরনের সংকট হয়েছে। কিন্তু বিদেশিদের হস্তক্ষেপে কী আমরা কখনও সমাধান পেয়েছি?

কখনই পাইনি৷ কোন সময় ঠিক খেয়াল নেই, বিএনপির সময় বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জাতিসংঘ থেকেও দূত প্রেরণ করা হয়েছিল, তখনও কোন কাজ হয়নি৷ আমার মনে হয়, মূল সমস্যাটা অন্যখানে৷ সারাবিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে স্বাধীনতার পক্ষের এবং স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি আছে৷ পৃথিবীর কোন দেশে তা নেই৷ ভারতেও নেই৷ সব যদি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হয় তাহলে একটা মীমাংসায় পৌঁছানো যায়৷ কিন্তু বিপরীত দিকে যদি একটা অবস্থান থাকে তাহলে তো মিলতে পারে না৷ সংকটটা এখানেই তৈরি হয়েছে৷