বিনিয়োগ বোর্ড ও প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মানছে না জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানি, সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি শিল্প উদ্যোক্তারা
- আপডেট সময় : ০২:১৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে
বিনিয়োগ বোর্ড ও প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য খোলা রয়েছে গ্যাস সংযোগের দুয়ার। উদ্যোক্তারা বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেও গ্যাস সংযোগ পেতে সিলেট জালালাবাদ গ্যাস সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। জালালাবাদ গ্যাসের পরিকল্পনা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন, মার্কেটিং বিভাগের শামছুল আলম এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক লিটন কুমার নন্দীর পকেটে মোটা অংকের টাকা না গেলে মিলেনা গ্যাস সংযোগ। আর নয়তো সংযোগ পেতে গ্রাহককে ঘুরতে হবে বছরের পর বছর। ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরাসরি উত্তর দিবেন বলে লিটন নন্দী তার অফিসে ডেকে নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার ও এস এ টিভির ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজী নন কোম্পানির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।
সিলেটের বিমানবন্দর এলাকায় একটি পাঁচ তারকা হোটেল করতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন প্রবাসীদের গ্লোবাল এসেট প্রতিষ্ঠান। জ্বালানি উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত কমিটির কাছ থেকে গ্যাস সংযোগের প্রাথমিক সম্মতির অনুমোদনও পেয়েছিলেন তারা। কিন্তু চুড়ান্ত সংযোগ অনুমোদনে বাঁধ সাধে জালালাবাদ গ্যাস সিন্ডিকেট। গ্লোবাল এসেট নামক এই প্রতিষ্ঠানটি এখন বিনিয়োগ আটকে পথে বসতে বসেছে। আর উদ্যোক্তারা ফিরে গেছেন আশাহত হয়ে।
আবার অনেক প্রতিষ্ঠান ৩/৪ বছর ঘুরে কাঠখড় পুড়িয়ে শেষমেষ জালালাবাদ সিন্ডিকেটকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে পেয়েছেন গ্যাস সংযোগ।
গ্যাস বিপনন নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী, ‘যান্ত্রিক উপায়ে চালিত’ হলেই উন্নত মানের আবাসিক হোটেলে গ্যাস সংযোগ দেবার কথা। যা মানা হচ্ছে কিনা দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেয় জালালাবাদ গ্যাসের পরিচালনা পর্ষদ। কমিটিতে থাকেন বিতর্কিত পরিচালক আইয়ুব খান, আরেক পরিচালক আকরামুজ্জামান ও জালালাবাদ গ্যাসের উপ মহাব্যবস্থাপক লিটন কুমার নন্দী। কমিটি রিপোর্টে বিচিত্র সব কারণ উল্লেখ করে শিল্প সংযোগ না দিতে সুপারিশ করে। নীতিমালায় ‘যান্তিক উপায়ে’ উল্লেখ থাকলেও তার অর্থ দাঁড় করান ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে’,।
২০১৪ নীতিমালা উল্লেখ করে তারা উদাহরণ টানেন ২০০৪ এর নীতিমালা অনুযায়ী দেয়া রোজভিউ হোটেলের সংযোগের। আর এই সবই আইয়ুব খানের নির্দেশনায় করেন লিটন কুমার নন্দী ও শামছুল ইসলাম। এই বিষয়ে জানতে কল করা হয় লিটন কুমার নন্দীর কাছে,তিনি ফোনে যেতে বলেন তার অফিসে।
প্রাতিষ্ঠানিক সব নিয়ম মেনে জালালাবাদ গ্যাস কার্যালয়ের তথ্য ও অভ্যর্থনা কেন্দ্রে যাবার পর ফোন করলে তিনি সেখানে অফিসের কয়েকজন কর্মচারী -কর্মকর্তা পাঠান। নিশাতুর রহমান কুরেশি নামের আরেক ব্যবস্থাপক নিজেকে একমাত্র সৎ কর্মকর্তা দাবি করে সকল সাংবাদিকদের গালিগালাজ করেন।
ঘটনার পর লিটনকে অসংখ্যবার কল করলে তিনি আর রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় এসএ টিভি সিলেট ব্যুরো অফিস থেকে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।