বিশ্বজুড়ে করোনায় প্রাণহানি ১১ লাখ ছাড়িয়েছে। শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৯০ লাখের বেশি। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ২ কোটি ৯২ লাখ মানুষ। এদিকে, বিশ্বজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে আবার পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। লকডাউন, কারফিউয়ের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত বলবৎ করতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিষেধের ওপর জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, জীবন রক্ষায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা আবারো জরুরী হয়ে পড়েছে। ইউরোপ যখন করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে, তখনই এমন সতর্কবার্তা দিলো সংস্থাটি। আগামীকাল থেকে লন্ডনে ঘরোয়া সমাবেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে। ফ্রান্সের ৯টি শহরে আরোপ করা হচ্ছে কারফিউ। গত বুধবার থেকে নেদারল্যান্ডসে চলছে চার সপ্তাহের আংশিক লকডাউন। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র, জার্মানি ও স্পেনের কাতালোনিয়ায়ও। আশংকাজনক হারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় ইতালিতে বড়দিনের আগে অন্তত তিন সপ্তাহের লকডাউন দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এদিকে নাপোলিসহ ক্যাম্পানিয়া বিভাগের স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসসহ আরো সাতটি শহরে রাত্রিবেলায় কারফিউ ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। কারফিউ ভাঙলে হবে জেল-জরিমানা। কারফিউ সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে মোতায়েন রয়েছে ১২ হাজার পুলিশ।