বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি

- আপডেট সময় : ০২:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৫৮২ বার পড়া হয়েছে
চীনে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি। দক্ষিণ কোরিয়ায় একদিনেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। পরিস্থিতি ‘ভয়াবহ’ হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী। এদিকে, ইরানে আরো দুইজনের মৃত্যুতে হয়েছে। আক্রান্ত প্রদেশের স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, করোনার কারণে ইতালির ১০টি শহর বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
করনোভাইরাসে চীনে শুক্রবার মারা গেছেন ৯৭ জন। আর আক্রান্ত হয়েছে ৬৪৮ জন। এই হিসেবে গেলো কয়েকদিন চীনে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
তবে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি। দক্ষিণ কোরিয়ায় একদিনেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। গেলো ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে ২২৯ জন। আর মারা গেছেন ৩ জন। পরিস্থিতি ‘ভয়াবহ’ হচ্ছে বলে সতর্ক করে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানসহ যে কোনো জনসমাগম এড়িয়ে চলতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী চুং সায়ে-কিউন।
এদিকে, ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো দুইজন। এই নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ জনে। আক্রান্ত হয়েছে ২৮ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আক্রান্ত প্রদেশের স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আর ইতালিতে ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুতে ১০টি শহর বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
জাপানের উপকূলে কোয়ারেন্টিন করে রাখা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৬৩৯ জনসহ দেশটিতে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭২ জনে। দেশটিতে মারা গেছেন ২ জন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী কোভিড-নাইনটিন আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ৯৩০ জনে। আর এ ভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪৬১ জন। যাদের মধ্যে ১৯ জন ছাড়া বাকি সবার মৃত্যু হয়েছে চীনে।
এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বজুড়ে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিনা জর্জিয়াভা। আর এ রোগ যাতে অন্যান্য দেশে মহামারি আকার না নেয় সেজন্য এখনই সর্বোচ্চ তৎপরতা চালানো জরুরি বলে মনে করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।