বিশ্বের ২৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে জয়পুরহাটের লতিরাজ কচু
- আপডেট সময় : ০৭:২১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
- / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
বিশ্বের ২৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে জয়পুরহাটের লতিরাজ কচু। অথচ সরকার রাজস্ব পেলেও, জয়পুরহাটে এর নেই কোনো নির্ধারিত হাট। রপ্তানির জন্য প্রসেসিং করতে লতি পাঠাতে হয় ঢাকা অথবা চট্টগ্রামে। নিজস্ব উদ্যোগে ভাড়া জায়গায় হাট বসিয়ে নানা সমস্যা নিয়েই চলছে ব্যবসায়ীরা। এখানে সরকারিভাবে প্রসেসিং সেন্টার গড়ে তুললে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন, সংশ্লিষ্টরা।
প্রায় ৩০ বছর আগে জয়পুরহাটের পাঁচবিবির বটতলী এলাকায় সীমিত পরিসরে লতিরাজ কচু চাষ শুরু করে কৃষক। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীঁয় বাজারে লতি বিক্রি করে তারা। অন্য ফসলের চেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়ায় ধীরে ধীরে কচু চাষে ঝুঁকে পড়ে স্থানীয় কৃষক।
১৯৯৫ সালে পাঁচবিবির বটতলীতে জায়গা ভাড়া নিয়ে স্থানীয়রা গড়ে তোলে কচুর হাট। ১৯৯৮ সাল থেকে শুরু হয় বিদেশে রপ্তানি। কুয়েত, মালেয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ২৫টি দেশে এখন রপ্তানি হচ্ছে। জেলার ব্রান্ডিংও হয়েছে এই লতিরাজ কচু।
পাঁচবিবিতে কচু প্রসেসিং সেন্টারের দাবি জানিয়েছে পৌর মেয়র।
এখানকার উৎপাদিত ৪০ শতাংশ লতিরাজ কচু বিদেশে রপ্তানি হয়। এখানে প্রসেসিং প্ল্যান্টের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানায়, কৃষি বিভাগ।
জেলায় ১২৫০ হেক্টর জমিতে কচু চাষ হচ্ছে। প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে স্থানীয় হাটে বেচা-কেনা হচ্ছে।