বিশ্বে বজ্রপাতে মৃত্যুর এক চতুর্থাংশই বাংলাদেশে
- আপডেট সময় : ০২:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১
- / ১৫১৮ বার পড়া হয়েছে
দেশে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে বর্জপাতে মৃত্যুর সংখ্যা। চলতি বছর শুধু এপ্রিলেই মারা গেছেন ১১০ জন। গেল ১১ বছরে মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৪৪৭। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে বজ্রপাতে মৃত্যুর এক চতুর্থাংশই বাংলাদেশে। বজ্রপাতে দীর্ঘ হতে থাকা মৃত্যুর এই মিছিলকে উদ্বেগজনক মন্তব্য করে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে বজ্রপাত। তবে প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা তৈরীর কোন বিকল্প নেই বলেও মত দেন তারা। সেই সচেতনতা তৈরীতে পাঠ্যসূচীতে বজ্রপাতে করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা বড় হাতিয়ার হতে পারে বলেও মত দেন বিশেষজ্ঞরা।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে বজ্রমেঘের ঘর্ষণের ফলে সৃষ্ট হয় এই বজ্রপাত। আর বায়ুমণ্ডলে সেই বজ্রমেঘ তৈরী হয়, বঙ্গোপসাগর থেকে আসা উষ্ণ বাতাস এবং হিমালয় থেকে আসে ঠাণ্ডা বাতাসের মিশ্রনে। দক্ষিণের গরম আর উত্তরের ঠাণ্ডার এই সংমিশ্রণে তৈরি হওয়া বজ্র মেঘের সংঘাতে তৈরী উচ্চ ভোল্টের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ দুর্যোগ হয়ে নেমে আসে মাটিতে।
ভৌগলিক কারণেই বাংলাদেশ একটি বজ্রপাত প্রবন অঞ্চল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে বজ্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতি সংখ্যা। গেল ১১ বছরে মারা গেছেন প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। যাদের ৯০ ভাগই পুরুষ এবং কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। চলতি বছর শুধু এপিল মাসেই মারা গেছেন ১১০ জন।
এমন পরিস্থিতিতে ঢাকাসহ দেশের ৮টি জায়গায় লাইটেনিং ডিটেক্টর বসায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। যদিও সেগুলো থেকে পাওয়া যাচ্ছে না কার্যকর তথ্য।
এ বিষয়ে জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানান, বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতির এই উর্ধ্বমূখী প্রবনতা উদ্বেগজনক।
আর এই আবহাওয়াবিদ জানান, সম্প্রতি নাসা বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে বজ্রপাতের হট স্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ থেকে উত্তোরণে করনীয় সম্পর্কেও কথা বলেন তারা।
তবে বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরামর্শগুলো মেনে চলা উচিত বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা। যেখানে বলা হয়েছে বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গায় বড় গাছের নিচে না দাঁড়ানোর কথা, নৌকায় থাকলে দাঁড়িয়ে না থেকে পাটাতনে শুয়ে থাকা, বৈদ্যুতিক তার কিংবা খুটির নীচে অবস্থান না করা, ছাদের পরিবর্তে ঘরে অবস্থান করা এবং ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসগুলো বন্ধ করা উচিত ।