বিশ্বে সবচেয়ে সস্তায় পোশাক রপ্তানী করছে বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০৩:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
- / ১৮১৫ বার পড়া হয়েছে
বিশ্বে সবচেয়ে সস্তায় পোশাক রপ্তানী করছে বাংলাদেশ। প্রতিযোগী ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক এমনকি মরোক্কো থেকেও বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের মান ও দাম দুটোই কম। একারণে শ্রমিকের বেতন কিংবা গ্যাস বিদ্যুতের দাম যেকোন খাতে খরচ বাড়লেই সংকটে পড়ছে পুরো সেক্টর। বিজিএমইএ বলছে, সস্তাপণ্যের চাহিদা বেশি থাকায়, দামী পণ্যে তারা আগ্রহী নন। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ক্রেতার সঙ্গে দাম নির্ধারণে উদ্যোক্তারা দক্ষতা দেখাতে না পারায়, এই অবস্থা তৈরী হয়েছে।
গেলো বছর ইউরোপের বাজারে রপ্তানী হওয়া প্রতি কেজি তৈরী পোশাকের গড় মুল্য ছিলো ২২ দশমিক ৪৮ ডলার। সেখানে বাংলাদেশের পোশাকের দাম সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ২৭ ডলার। একই বছর আমেরিকার বাজারে প্রতি বর্গমিটার কাপড় রপ্তানী করে ভারত পেয়েছে ৩ দশমিক ৮০ ডলার, শ্রীলঙ্কা ৪ দশমিক ২৬ ডলার। বিপরীতে বাংলাদেশের অর্জন মাত্র ৩ দশমিক ১০ ডলার। ও জিএফএক্সই
বিজিএমইএ বলছে, দামী পণ্য তৈরীতে বড় বিনিয়োগের কারখানার প্রয়োজন। যার সংখ্যা বাংলাদেশে কম। এছাড়া বিশ্ববাজারে সস্তা পণ্যের চাহিদা বেশি। সেটাফ
পোশাক উদ্যোক্তারা বলছেন, দামি পণ্য বানাতে দক্ষ জনবল ও উন্নত টেক্সটাইল প্রয়োজন। যার তীব্র অভাব বাংলাদেশে। এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় কারখানা বেশি হওয়া কম দামে অর্ডার নেয়ার কারণ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা, দাম নির্ধারনে প্রতিযোগীতাসহ উদ্যোক্তাদের দক্ষতার অভাবে সম্ভাবনার সবটুকু অর্জিত হয়নি পোশাক খাতে। সেটাফ
দীর্ঘদিন ধরে দেশে তৈরী পোশাক শিল্প রপ্তানী বাণিজ্যে আধিপত্য ধরে রাখলেও বৈচিত্র আনতে পারেনি। গেল বছর ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানী হলেও ৩ হাজার ৭৭৭ কোটি ডলারই এসেছে ট্রাউজার, টি-শার্ট, নিটেড শার্ট, সোয়েটার ও অন্তর্বাসের মতো সস্তা পণ্য থেকে।