বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
- আপডেট সময় : ০৬:০৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
- / ১৬৩৯ বার পড়া হয়েছে
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচ নদীর পানি। লোকালয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পানিতে ডুবে এ পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় মহারশি, সোমেশ্বরী, চেল্লাখালি, ভোগাই ও মৃগী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শেরপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে তিন উপজেলার শতাধিক গ্রাম। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অর্ধলক্ষ মানুষ। গত ৩৫ বছরের মধ্যে এমন ভয়াবহ বন্যা দেখেনি স্থানীয়রা।
হঠাৎই বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছেন বানভাসীরা। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার, পানি ও গোখাদ্যের সংকট। বাড়িঘর ছেড়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে অনেকে। এছাড়াও ত্রাণ সহায়তার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
পানির স্রোত বেশি থাকায় উদ্ধারকাজে ইঞ্জিন চালিত নৌকা না থাকায় আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছেন সেচ্ছাসেবীরা।
এদিকে পানিবন্দিদের উদ্ধারের পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে প্রশাসন।
ভেসে গেছে শতশত মাছের ঘের, পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে আমন ধান ও আগাম সবজির ক্ষেত। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করেছে প্রশাসন।