বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি দিয়েও মানছে না রাশিয়া
- আপডেট সময় : ০৮:৪২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২
- / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিওপোল ও ভলনোভখা শহরে যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। পাঁচ ঘণ্টার জন্য এই বিরতি দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য সাময়িক এই যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। তবে, এই অস্থায়ী বিরতির সমঝোতা পুরোপুরি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে মারিওপোলের নগর কাউন্সিল। এর আগে, ইউক্রেনের আকাশে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা না করায় ন্যাটোর তীব্র সমালোচনা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
ইউক্রেনে হামলার দশম দিনে এসে দুটি শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সময় শনিবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বেসামরিক লোকদের জন্য মানবিক সহায়তা করিডোর চালু করেছে মস্কো। এ মানবিক করিডোর খোলা থাকবে মাত্র ৫ ঘন্টা। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা শহর দুটি হলো মারিওপোল ও ভলনোভাখা।ইউক্রেনের তরফ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে দুই দফা বৈঠক হয়েছে, তবে এ বৈঠক থেকে তেমন কোনো ফল আসেনি। এবার তৃতীয় দফা বৈঠকে বসতে চাচ্ছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক গতকাল শুক্রবার এসব কথা জানান। চলতি সপ্তাহেই এ বৈঠক হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হবে না ও দেশটিতে ন্যাটোর কোনো সেনাও পাঠানো হবে না। এ ঘোষণার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ন্যাটোর দেশগুলো ভাবছে ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ করা হলে ন্যাটোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে রাশিয়া।
এদিকে, রাজধানী কিয়েভের দখল নিতে আশপাশের শহরগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে রাশিয়ান সেনারা। বিভিন্ন শহর ও গ্রামে শুধুই ধ্বংসযজ্ঞের চিন্হ। এ যেন মৃত্যুপুরী।
ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউরোপে বড় আকারে সাইবার হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। সেই আশঙ্কাই এখন সত্যি হয়েছে। শুক্রবার ইউক্রেনসহ ইউরোপের একাধিক দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
অন্যদিকে ,ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ মেনে নিতে পারেননি অনেক রুশ নাগরিকই। রুশ টেলিভিশন চ্যানেল ‘রেইন টিভি’র কর্মীরা শেষ সম্প্রচারে লাইভে এসে একযোগে পদত্যাগ করে প্রতিবাদ জানান।