১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে আবার এসেছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মে ২০২১
  • / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে আবার এসেছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। করোনা সংকটের মধ্যে তৃতীয় ঈদ উদযাপিত হতে যাচ্ছে আজ। জীবন ও জীবিকার এই লড়াইয়ে ঈদ উদযাপনের চাইতে বেঁচে থাকার লড়াইটাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রিয়জনের কাছে যাওয়ার সুযোগ মেলেনি অনেকের, বন্ধ রয়েছে দর্শনীয় স্থানগুলো, তাই বিষাদের ছায়া অনেকের মনে। সবার অপেক্ষা কবে এ মহামারী থেকে মুক্তি পাবে সারা বিশ্ব।

করোনার কারণে এবারো ঈদ আনন্দ ছিল ভিন্নতা। সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে ঈদ আয়োজনে এসেছে পরিবর্তন। কোলাকুলি না করা, নিজ বাড়িতে ঈদ উদযাপনের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

করোনা সংক্রোমনের ঝুকি থাকায় এবারও দেশের কোন ঈদগায়ে জামাত অনুষ্ঠিত হবে না বলেছেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। ঈদগাহে এবং উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম নিষেধ থাকায় এবার মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসুল্লিরা। ভিড় কমাতে একজনের সঙ্গে আরেকজনের একফুট দূরত্ব রেখে ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করা হয়।

গেল এক বছরের বেশী সময় ধরে অনেকটাই ঘরে বন্দি আমাদের কিশোর কিশোরিরা। এরমাঝে প্রযুক্তি যেন বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে। ফেজবুক, ইউটিউব, টুইটার, টিভি দেখে সময় কাটছে অনেকের।

এমন পরিস্থিতিতে রান্না ঘরে যেন একটু বেশী সময় পার করছেন গৃহিনীরা। পরিবারের আবদার মেটাতে সুস্বাধু রান্নায় ব্যস্ততা বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশী।

অন্যদিকে করোনা সংক্রমনের বিধি নিষেধের কারণে বন্ধ রয়েছে বিনোদনকেন্দ্রগুলো, পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় নেই জন মানুষের ভীড়। বাধ্য হয়ে অনেকটা চার দেয়ালের মাঝেই কাটছে বেশিরভাগ মানুষের ঈদ উদযাপন।

এরই মাঝে প্রানঘাতি করোনা কেড়ে নিয়েছে অনেকের স্বজন। কেউ হয়েছেন বেকার, কারো বদলেছে পেশা। কারো আবার কমেছে মজুরী। দ্রব্যমূল্যর উর্ধগতীর কারনে লড়াই করে টিকে থাকা সেই মানুষগুলোর কাছে ঈদের আনন্দের চেয়ে বেঁচে থাকাই যেন মুখ্য।

আশাবাদী মানুষ তবু হাল ছাড়ে না। শত সীমাবদ্ধতাকে জয় করে এগিয়ে চলে আগমীর পথে। সচেতন মানুষের চেষ্টা ও উদ্যোমের কাছে পরাজিত হবে করোনা, মানুষ ফিরে পাবে আবার সেই মুক্ত বিশ্ব, ঈদুল ফিতরে এমনটাই সাবার প্রত্যাশা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে আবার এসেছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর

আপডেট সময় : ০২:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মে ২০২১

বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে আবার এসেছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। করোনা সংকটের মধ্যে তৃতীয় ঈদ উদযাপিত হতে যাচ্ছে আজ। জীবন ও জীবিকার এই লড়াইয়ে ঈদ উদযাপনের চাইতে বেঁচে থাকার লড়াইটাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রিয়জনের কাছে যাওয়ার সুযোগ মেলেনি অনেকের, বন্ধ রয়েছে দর্শনীয় স্থানগুলো, তাই বিষাদের ছায়া অনেকের মনে। সবার অপেক্ষা কবে এ মহামারী থেকে মুক্তি পাবে সারা বিশ্ব।

করোনার কারণে এবারো ঈদ আনন্দ ছিল ভিন্নতা। সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে ঈদ আয়োজনে এসেছে পরিবর্তন। কোলাকুলি না করা, নিজ বাড়িতে ঈদ উদযাপনের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

করোনা সংক্রোমনের ঝুকি থাকায় এবারও দেশের কোন ঈদগায়ে জামাত অনুষ্ঠিত হবে না বলেছেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। ঈদগাহে এবং উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম নিষেধ থাকায় এবার মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসুল্লিরা। ভিড় কমাতে একজনের সঙ্গে আরেকজনের একফুট দূরত্ব রেখে ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করা হয়।

গেল এক বছরের বেশী সময় ধরে অনেকটাই ঘরে বন্দি আমাদের কিশোর কিশোরিরা। এরমাঝে প্রযুক্তি যেন বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে। ফেজবুক, ইউটিউব, টুইটার, টিভি দেখে সময় কাটছে অনেকের।

এমন পরিস্থিতিতে রান্না ঘরে যেন একটু বেশী সময় পার করছেন গৃহিনীরা। পরিবারের আবদার মেটাতে সুস্বাধু রান্নায় ব্যস্ততা বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশী।

অন্যদিকে করোনা সংক্রমনের বিধি নিষেধের কারণে বন্ধ রয়েছে বিনোদনকেন্দ্রগুলো, পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় নেই জন মানুষের ভীড়। বাধ্য হয়ে অনেকটা চার দেয়ালের মাঝেই কাটছে বেশিরভাগ মানুষের ঈদ উদযাপন।

এরই মাঝে প্রানঘাতি করোনা কেড়ে নিয়েছে অনেকের স্বজন। কেউ হয়েছেন বেকার, কারো বদলেছে পেশা। কারো আবার কমেছে মজুরী। দ্রব্যমূল্যর উর্ধগতীর কারনে লড়াই করে টিকে থাকা সেই মানুষগুলোর কাছে ঈদের আনন্দের চেয়ে বেঁচে থাকাই যেন মুখ্য।

আশাবাদী মানুষ তবু হাল ছাড়ে না। শত সীমাবদ্ধতাকে জয় করে এগিয়ে চলে আগমীর পথে। সচেতন মানুষের চেষ্টা ও উদ্যোমের কাছে পরাজিত হবে করোনা, মানুষ ফিরে পাবে আবার সেই মুক্ত বিশ্ব, ঈদুল ফিতরে এমনটাই সাবার প্রত্যাশা।