ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বাড়ছে উত্তরাঞ্চলের সব নদীর পানি
- আপডেট সময় : ০১:৫১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩
- / ১৬২২ বার পড়া হয়েছে
ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যমুনা ও তিস্তায় পানি বেড়ে শাখা নদী ও উপনদীতে পানি পাড় ছুঁইছুঁই করছে। কুড়িগ্রামের নদ-নদী ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্য নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে।এদিকে, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে দেশের ৭ জেলার ওপর দিয়ে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে; সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড় ও বড়াল নদীর পানিও বাড়ছে। ফলে যমুনায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত ২ দিনে সিরাজগঞ্জে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে একাধিক ঘর-বাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিস্তৃর্ণ ফসলি জমি। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ।
বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের ঢলের পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সকালে ৬ সেমি কমে তিস্তার পানি ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ,আদিতমারী ও সদরসহ চার উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র ধরলা দুধকুমারসহ সবক’টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দুধকুমার নদের পানি পাটেশরী পয়েন্টে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তৃতীয় দফায় জেলার নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে তীরবর্তী এলাকার নীচু এলাকাগুলোর বসতবাড়ীতে আবারও পানি ঢুকছে। শুরু হয়েছে ভাঙ্গণ।