ভাষানচড়ে আবাসনের উদ্দেশ্যে নৌবাহিনীর ৮ টি জাহাজে রওনা করেছে রোহিঙ্গারা
- আপডেট সময় : ০২:০২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
নানান জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নোয়াখালীর ভাষানচরে নির্মিত অস্থায়ী নিরাপদ নিবাসে স্থানান্তর করা হলো ২ শতাধিক পরিবারের ১৬ শো ৪৫ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে। সকালে চট্টগ্রামের বোটক্লাবের জেটি থেকে এসব রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিয়ে নৌবাহিনীর ৮ টি জাহাজ রওনা করে ভাষাণচরের উদ্দেশ্যে। রোহিঙ্গারা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাষানচরের নিরাপদ অবকাঠামো ও কর্মসংস্থানের সুযোগ দেখেই সেচ্ছায় সেখানে যেতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। কুতুপালংয়ে থাকা বাকি রোহিঙ্গারাও তাদের অনুসরণ করে ভাষাণচরে আসবেন বলেও প্রত্যাশা জানিয়ে টানা তিন বছরেরও বেশী সময় ধরে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান।
চট্টগ্রামের বোটক্লাবের হলরুমে সকালের নাস্তা সেরে জেটিতে নোঙ্গর করা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৮ টি বিশেষায়িত জাহাজে উঠতে শুরু করেন ১৬ শো ৪৫ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। গেল তিন বছর ধরে যারা আশ্রীত ছিলেন কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। ছোট্ট জায়গায় অত্যন্ত ঘনবসতিতে বসবাস করতে করতে হাপিয়ে ওঠা এসব রোহিঙ্গা নাগরিকরা জানান, উন্নত জীবন আর সন্তানদের শিক্ষিত করে তোলার আশা নিয়েই ভাষাণচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা তাদের।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতির ভাষানচড়ের উন্নত ও নিরাপদ স্থাপনা কর্মসংস্থানের সুযোগ দেখে সেচ্ছায় সেখানে যেতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন তারা। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কুতুপালংয়ের বাকি রোহিঙ্গারাও ভাষাণচড়ে আসতে আগ্রহী হবেন বলে প্রত্যাশা তাদের। ফুটেজ-২ ও ১
দীর্ঘদিন আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি ভাষাণচড়ে নিরাপদ বাসস্থান গড়ে তোলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি নিরাপত্বার নিশ্চয়তা পেলে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন রোহিঙ্গারা।
পরিবেশ আর নিরাপত্ত্বার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ভাষানচড়ের স্থাপনাগুলো গড়ে তোলার পাশাপাশি অন্তত একলাখ মানুষের কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রকল্প গড়ে তোলার কথা জানান নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা।
যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতাসহ কয়েকটি খোড়া অজুহাতে জাতীসঙ্ঘসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আপত্তির কারণে দীর্ঘায়িত হয় রোহিঙ্গাদের ভাষাণচড়ে স্থানান্তরের এই প্রক্রিয়া। কিন্তু সব প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে স্বপ্রণোদিত হয়ে ভাষানচড়ে যাওয়া শুরু করলো বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা নাগরিকরা।