ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আপডেট সময় : ০৫:৩৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ মে ২০২২
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বরিশাল কেন্দ্র গবেষণা করে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে সাড়া ফেলেছে। সমতল ভূমিতে চাষের তুলনায় ফসল উৎপাদনও বেশি হচ্ছে। কৃষকরা এই পদ্ধতিতে চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। কম খরচে বরবটির অধিক ফলন পেয়ে লাভবান হচ্ছে কৃষক। কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্ভাবিত বারি-১ বরবটি চাষ দিন দিন বাড়ছে। অধিক ফলন এবং খরচ কম হওয়ায় অনেক কৃষক এই চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে সেটা রোগমুক্ত ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
সব্জির পুষ্টিগুণ ঠিক রাখতে এখন জনপ্রিয় মাধ্যম ভাসমান বেড। এই প্রক্রিয়ায় কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ বন্ধে উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। বরিশালে ভাসমান বেডে নতুন নতুন জাতের ফসল উৎপাদনে আগ্রহী এখন কৃষকরাও।
তিন বছর গবেষণার পর বারি-১ জাতের বরবটি চাষ সাফল্য পেয়ে সাড়া পড়ে গেছে। সমতল ভূমির চেয়ে পানিতে সবজির চাষ বাড়ছে এবং পুষ্টিগুণও অক্ষত থাকছে এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অধিক ফলন এবং খরচ কম হওয়ায় অনেক কৃষক এই চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের এই কর্মকর্তা বলছেন, কৃষকদের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে প্রযুক্তি ও গবেষনা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কৃষকের মাঠে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে সংস্থাটি।
এদিকে এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলল্লেন, ভাসমান পদ্ধতিতে বরবটি চাষ করলে রোগবালাই কম হয়। একই সঙ্গে মাত্র দুই মাসে ফলন ঘরে তোলা যায়।
দক্ষিনাঞ্চলসহ সব অঞ্চলে ভাসমান বেডে বরবটি উৎপাদন নিরাপদ। ৩ বছর যাবৎ এ নিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষা চলছে।
বরিশাল বিভাগের ৬টা উপজেলায় ভাসমান পদ্ধতিতে বরবটি চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলার বানারীপাড়া, উজিরপুর ও আগৈলঝারা। ঝালকাঠি জেলার নলছিটি এবং পিরোজপুরের নেছারাবাত ও নাজিরপুর উপজেলা।