ভুটান চাইলে বাংলাদেশের বিমানবন্দরসহ যে কোন বন্দর ব্যবহার করতে পারবে বলে ঘোষণা
- আপডেট সময় : ০২:১১:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫২৭ বার পড়া হয়েছে
ভুটান চাইলে বাংলাদেশের বিমানবন্দরসহ যে কোন বন্দর ব্যবহার করতে পারবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দারিদ্র, জঙ্গীবাদ, মাদকসহ কোভিড ১৯ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি। প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট, পিটিএ সাক্ষর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাধীন- সার্বোভৌম বাংলাদেশকে সবার প্রথমে স্বীকৃতি দিয়েছিল ভূটান। ৫০ বছর পর সেই বন্ধুত্বের শুরুর দিনেই দু’দেশের মধ্যে সাক্ষরিত হল প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট, পিটিএ। যার ফলে পণ্য আমদানি-রফতানিতে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা নিশ্চিত হবে। দীর্ঘ ২০ বছর চেষ্টার পর অবশেষে বিজয়ের মাসে চুক্তিটি করা সম্ভব হওয়ায় অর্থনীতির জন্য এটি একটি মাইলফলক ঘটনা বলে মনে করছে সরকার।
ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ভূটান থেকে যোগ দেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তি সই করেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও ভুটানের অর্থ-বাণিজ্যমন্ত্রী লোকনাথ শর্মা।
ভূটানের সাথে -আর্থ-বাণিজ্যিক, ভুরাজনৈতিক সাদৃশ্য ও আগ্রহের জায়গা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের বিমানবন্দর, চিলমারী বন্দরসহ যে কোন বন্দর, ভূটান চাইলে ব্যবহার করতে পারবে।
দেশের জনগণের সার্বিক উন্নতির কথা চিন্তা করে দুদেশের মাঝে কোটা ও শুল্কমুক্ত পণ্যের অবাধ বাজারজাতকরনের গুরুত্ব তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, গণতান্ত্রিক চর্চা সমুন্নত রেখেই বাংলাদেশ দারিদ্র বিমোচন করতে চায়।
সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের কঠোর অবস্থান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, বিশ্ব মহামারী কোভিডের সাথে যুদ্ধে জিততে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত সময়ে ভূটানের বন্ধুতের স্বীকৃতির স্মৃতিচারণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। বলেন, ভূটান বাংলাদেশিদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।