ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রধান প্রকৌশলী
- আপডেট সময় : ১০:০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
- / ১৮২৩ বার পড়া হয়েছে
বিদেশী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ শাখা থেকে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএমডিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী। কথিত এই ডিগ্রি অর্জনের পর বড় বড় একাধিক প্রকল্পের পিডিও হয়েছেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ ওঠে তার ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে। অভিযোগ তদন্তে মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিলেও রহস্যজনক ভাবে সেই চিঠি ধামাচাপা দেয়া হয়। তবে আবারো ওই কর্মকর্তার পিএইচডি ডিগ্রির সত্যতা জানতে চেয়েছে মন্ত্রণালয়।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিএমডিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম। অফিসে দরজার পাশে লাগানো নেমপ্লেটে নামের আগে ঝকঝকে অক্ষরে ডক্টরেট লেখা। ২০০৯ সাল থেকে হঠাৎ করেই আবুল কাশেম নামে সাথে এই ডিগ্রি ব্যবহার করে আসছেন। রাতারাতি আবুল কাশেমের ডক্টরেট বনে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ছিল সবমহলেই। তবে তিনি স্বীকার করেছেন, নিয়ম অনুযায়ী ছুটি না নিয়েই অফিসের ফাঁকে ফাঁকে পিএইচডি কোর্স সম্পন্ন করেছেন।
যদিও পরে তিনি আবার উল্টো কথাও বলেছেন। আবুল কাশেমের দাবি, বিএমডিএ’র অনুমোদন নিয়েই তিনি পিএইচডি কোর্স সম্পন্ন করেছেন।
প্রকৌশলী আবুল কাশেম যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখায় দূরশিক্ষণ কোর্স থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার গবেষণার অভিসন্দর্ভ ছিল ‘প্রিপেইড সেচের অর্থনৈতিক দিক’। কিন্তু তথ্য বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির কোনো অনুমোদনই নেই।
এদিকে, প্রকৌশলী আবুল কাশেমের পিএইচডি ডিগ্রি ভূয়া বলে অভিযোগ উঠলে মন্ত্রণালয় তা ২০২০সালে তদন্তের নির্দেশ দেয় বিএমডিএকে। তবে ওই চিঠিও রহস্যজনক কারণে কয়েক বছর ধামাচাপা পড়েছিল। সম্প্রতি আবারো আবুল কাশেমের ডিগ্রির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছে মন্ত্রণালয়।
সরকারী কর্মকর্তাদের এমন অনৈতিক পিএইচডি ডিগ্রির বাতিক রোধে সরকারকে কঠোর হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন সুশাসন বিশ্লেষকরা।
আবুল কাশেম ছাড়াও বিএমডিএ’র আরো দুই নির্বাহী প্রকৌশলী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।