ভূমীদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করে সেই জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে আশ্রয়ন প্রকল্প
- আপডেট সময় : ০১:৫০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫২৭ বার পড়া হয়েছে
ভূমীদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করে সেই জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে আশ্রয়ন প্রকল্প। যেখানে ঠাঁই পেয়েছে দুই হাজার তিনশোটি ভূমিহীন পরিবার।চট্টগ্রামের ১৪ টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নামের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে জেলা প্রশাসন। বছরের পর বছর ভাসমান থেকে এখন মাথা গোজার ঠাঁই পেয়ে খুশি এসব পরিবারের সদস্যরা। আর জেলা প্রশাসক বললেন, ভুমিহীন পরিবারগুলোকেপুনর্বাসনের পর এখন পরিকল্পিত কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তারা।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার গুমান মর্দন গ্রাম। গ্রামের মেঠোপথ ধরে কিছুদুর এগোলেই চোখে পড়বে লাল টুকটুকে এক জনবসতি। কিছুদিন আগেও যা ছিল ভুমিদস্যুদের দখলে আর এখন সেখানে শোভা পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের আশ্রয়ন প্রকল্প।
দুলাল চন্দ্র দাশ ও লক্ষী রাণী দম্পত্তি। হালদা পাড়ের সরকারী জমিতে অবৈধ বসতি গড়েই পার করেছেন জীবনের অনেকটা সময়। একপর্যায়ে বেরীবাধ প্রকল্পে উচ্ছেদের শিকার হন তারা। এরপর থেকে ভুমীহিন অবস্থায় ভেসে বেড়িয়েছেন কয়েক বছর। এখন গুমানমর্দন আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রথম ঘরটিই তাদের।
এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের দ্বিতীয় সারির মাঝের ঘরটির বাসিন্দা বিবি আয়েশা এক সন্তান আর স্বামীর সঙ্গে এবস্তি-ও বস্তিতে ঘুরেই কাটিয়েছেন এতবছর। এখন সুন্দর একটি চারচালা টিনের ঘরের মালিক। তার মতো এমন ২৬ টি পরিবার পুনর্বাসিত হয়েছে এই আশ্রয়ন প্রকল্পে।
চট্টগ্রামের ১৪ টি উপজেলায় এমন বেশ কয়েকটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাথা গোজার ঠাঁই পেয়েছেন দু হাজার তিন শোটি ভূমিহীন পরিবার। জেলা প্রশাসক বললেন, এসব পরিবারের সদস্যদের আগ্রহ আর যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার করার পরিকল্পনাও আছে সরকারের।
আর সমাজকর্মীরা বলছেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশেই এমন মহতি উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু সঠিকভাবে তা বাস্তবায়ন হয়নি সবখানে।
ভবিষ্যতেও এমন প্রকল্পের জন্য ভূমিদস্যুদের কবলে থাকা সরকারী জমি পুনরুদ্ধারকে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ সমাজকর্মীদের।