মলদ্বারে চুলকানি হলে করণীয় কী?
- আপডেট সময় : ১০:৫৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
- / ১৬৫৯ বার পড়া হয়েছে
অনেকেই মলদ্বারের চুলকানির কথা বলে থাকেন। রাতের বেলায় মলদ্বারটা বেশি চুলকায়-আমার পাইলস হয়েছে। তাদের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই, মলদ্বারে বিভিন্ন কারণে চুলকাতে পারে। কারো যদি দেখা যায় এনালফিশিয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে চুলকাতে পারে। কারও যদি কৃমি থাকে, সেক্ষেত্রেও মলদ্বার চুলকাতে পারে। অনেকক্ষেত্রে মলদ্বারটা ছোট্ট ছিদ্র হয়ে ফিস্টুলা হয়, যেটা থেকে পুঁজ পানি বের হয়, তখনও কিন্তু সেই ছিদ্রটা অনেকের ক্ষেত্রে চুলকায় সেটাও বলে থাকে। এটা ছাড়া কারো যদি মলদ্বারে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়, সেক্ষেত্রেও চুলকানি হতে পারে। কাজেই কারও যদি মলদ্বারে চুলকানি থাকে, আমাদেরকে সঠিকভাবে ইতিহাস নিতে হবে-এটা কেন হচ্ছে, এটার সঙ্গে অন্যকোনো উপসর্গ আছে কি না? এক্ষেত্রে অবশ্যই রোগীকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসক দেখবেন, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। প্রটোস্কোপি (Protoscopy)করে রোগটা নির্ণয় করতে পারবেন। এরপরও দীর্ঘদিন যদি মলদ্বারে চুলকানি না হয়, সেটা চিন্তা করতে হবে; এটা কী কারণে হয়েছে, সেটা আগে নির্ণয় করে নিতে হবে এবং সে অনুসারে চিকিৎসা নিতে হবে। তবেই এ থেকেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে মাঝেমধ্যেই কৃমি ওষুধ খেয়ে থাকেন। তারা হয়তো মনে করে থাকেন, মলদ্বারের চুলকানিটা কৃমির জন্য হচ্ছে। আসলেই আমরা অনেক রোগী পাই, তার রোগটা হচ্ছে এনালফিশিয়া। কিন্তু তাদের মলদ্বারে চুলকানি হচ্ছে, তারা শুধু কৃমির ওষুধ খাচ্ছেন। অযথা নিজে নিজে চিকিৎসা না করে, নিজে নিজে কৃমির ওষুধ না খেয়ে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসক রোগ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা দিলেই এই মলদ্বারের রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
ডা. মো. নাজমুল হক মাসুম
সহযোগী অধ্যাপক (সার্জারী)
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
জেনারেল ও কোলো-রেকটাল সার্জন