ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিজিবি’র কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে মালবাহী পরিবহনে হয়রানির অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০২:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে বিভিন্ন পয়েন্টে বিজিবি’র কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে মালবাহী পরিবহন এমনকি জরুরী ডাকবাহী গাড়িগুলোকে প্রতিনিয়ত হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। আইনের তোয়াক্কা না করে লিখিত কোন ডকুমেন্ট ছাড়াই গাড়ি থেকে মালামাল নামিয়ে নিচ্ছে তারা।সম্প্রতি দেশের শীর্ষ স্থানীয় কুরিয়ার সার্ভিস এসএ পরিবহণের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ…ঘটনার বৈধতা দিতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাড়ির ড্রাইভার-হেলপারদের বাধ্য করা হচ্ছে বানোয়াট স্বীকারোক্তি দিতে। আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে মহাসড়কে একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর অপেশাদার আচরণের কারণে ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বিজিবি এবং সরকারের ।
২৫ অক্টোবর রাতে কুমিল্লার বুড়িচং থানার কালাকচুয়ায় এসএ পরিবহনের একটি ডাকবাহী গাড়ির গতি রোধ করে বিজিবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের হাবিলদার হারুণ। বিজিবির পরিচয় দিয়ে কোন ধরনের সিজারলিস্ট বা রিসিভকপি ছাড়ায় বুকিং হওয়া ৫ টি পার্সেল ছিনিয়ে নেয়। এসময় ডাকবাহী গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপারদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে ঢাকা মেট্রো-চ-২০-১২৩৯ নম্বরের পিক-আপ ব্যবহার করে আসা পোশাকধারী বিজিবি সদস্যরা।
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পের সিইও জানান, ওই রাতে তারা কোন অভিযানই চালাননি। এমনকি নির্ধারিত এলাকাটি তাদের এলাকার মধ্যেও নয়।
মঙ্গলবার দিনভর খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাম ব্যবহার করলেও মুলত পার্সেল গুলো ছিনিয়ে আনে কুমিল্লা ক্যাম্পের কয়েকজন সদস্য। বিষয়টি স্থানীয় ম্যানেজার জানতে চাইলে তাকে অকথ্যভাষায় গালাগালি ও হুমকি দেন বিজিবি’র কুমিল্লা ক্যাম্পের অধিনায়ক। এমনকি এসএটিভির সঙ্গেও কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
এর আগেও গেল ৩ মে কুমিল্লার আলেখার চড় এলাকা থেকে এসএ পরিবহনের আরেকটি ডাকবাহী কাভার্ড ভ্যান থেকেই একইভাবে ৮ টি পার্সেল নিয়ে যায় কতিপয় বিজিবি সদস্য। যারও কোন হদিস মেলেনি। দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের ওপর একই এলাকায় বার বার এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
আর আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, যে কোন মালের বৈধতা বিচার করার দায়িত্ব আদালতের। কোন বাহিনী মালামাল জব্দ করতে হলে অনুসরণ করতে হবে সুনির্দিষ্ট আইনী প্রক্রিয়া। এর ব্যত্যয় ঘটলে হবে আদালত অবমাননা।
করোনাকালে গ্রাহকসেবা নির্বিঘ্ন রাখার স্বার্থে হয়রানী বন্ধের আবেদন নিয়ে কুমিল্লা বিজিবি ক্যাম্পে বারবার ধর্ণা দিয়ে দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তার দেখা পাননি এসএ পরিবহনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।