মহেশখালী ইকোনোমিক জোনে বাড়তি জমি দখল করছে টিকে গ্রুপ
- আপডেট সময় : ০৩:৫৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
- / ১৭১৬ বার পড়া হয়েছে
মহেশখালীর ধলঘাট ইকোনোমিক জোনে ৫১০ একর জমির অনুমোদন দেয়া হলেও অনেক বেশি জমি দখল করছে টিকে গ্রুপ। অপরিকল্পিত ড্রেজিং ও নদীভরাট করে জেটি নির্মাণ এবং উপকুলীয় বনাঞ্চল বিনাশ করে পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডে চালাচ্ছে তারা। জিকু নামের এক সন্ত্রাসীর মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন দ্বীপটির কয়েকশো বাসিন্দাকে বলপূর্বক উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানীটির বিরুদ্ধে। প্রতিবেদন তৈরীর সময় এসএটিভির টিমকে ভিডিও ধারণে বাধা দেয় জিকুর নিয়োগ করা সন্ত্রাসীরা। তবে টিকে গ্রুপের দাবি, বেজার বুঝিয়ে দেয়া জমির বাইরে কোন জমি দখল করেনি তারা।
সাগর আর কোহেলিয়া নদীর মোহনায় জেগে ওঠা এই চরটি মহেশখালীর ধলঘাট ইউনিয়ন নামে পরিচিত। মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দরের কাছে হওয়ায় ক’বছর আগেও অবহেলিত জনপদটির কদর বেড়েছে এখন। এই চড়ের কয়েকশো একর জমি নিয়ে ধলঘাট ইকোনোমিক জোন তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছে বেজা। যদিও পুরো ইকোনোমিক জোনটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র তিনটি কোম্পানীর কাছে। এর মধ্যে সবার আগে কাজ শুরু করেছে টিকে গ্রুপ।
প্রতিষ্ঠানটির নামে ৫শো একর জমি বরাদ্দ দেয়া হলেও, কাজ চলছে আরো বেশি জমিতে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের জোর করে উচ্ছেদ করে তাদের ভিটেমাটি, ফসলি জমি, মাছের প্রজেক্ট এমনকি উপকুলীয় বণাঞ্চল ধ্বংস করে কথিত ভুমী উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এই প্রতিষ্ঠানটি।
বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপে দখলদারিত্বের নের্তৃত্ব দিচ্ছে জিকু বিশ্বাস নামের এক যুবক। জিএফএক্স-১ ও ২ যিনি নিজেকে টিকে গ্রুপের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন। বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রভাব খাটিয়ে দ্বীপবাসীকে জিম্মী করে প্রথমে নিজের নামে-বেনামে, পড়ে সেই জমিই টিকে গ্রুপের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছেন জিকু।
পুরো ইকোনোমিক জোনটি নিয়ন্ত্রন করেন জিকুর নিয়োগ করা লোকজন। দ্বীপে কেউ প্রবেশ করতে হলে, তাদের অনুমতি লাগে। এমনকি এসএটিভির টিমকেও ভিডিও ধারনে বাধা দেয় জিকু বাহিনীর সদস্যরা।
তবে টিকে গ্রুপের দাবি, বেজার বুঝিয়ে দেয়া জমির বাইরে কোন জমি দখল করেননি তারা। কয়েকটি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হলেও তাদের ক্ষতিপুরণ দেয়া হয়েছে বলে দাবি এই কর্মকর্তা।
মাতারবাড়ি বন্দরের জন্য নির্ধারিত জায়গার মধ্যে এই ইকোনোমিক জোনের অবস্থান। বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নদী খনন ও জেটি নির্মানের কোন নিয়ম না থাকলেও, তা মনছেন না টিকে গ্রুপ।