মাগুরায় প্রতিমাসে গড়ে ৮০০০ চামড়া ক্রয়-বিক্রয় হয়
- আপডেট সময় : ০২:১১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩
- / ১৫৩৯ বার পড়া হয়েছে
মাগুরার বিভিন্ন হাটবাজারে গড়ে প্রতিমাসে ৩০০০ গরু-মহিষ এবং ৫০০০ ছাগল ভেড়া সহ মোট ৮০০০ চামড়া ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। সারা বছর চামড়া বিক্রয়ের সাথে জড়িত মাংস ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদা ও উপযুক্ত মূল্য না থাকায় খুচরা পর্যায়ে অনেক চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। স্থানীয়
প্রাণীসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় কোরবানির উপলক্ষে অতিরিক্ত ৩০ হাজার পশুর চামড়া আমদানি হবে। ন্যায্য মূল্য এবং সংরক্ষণের মাধ্যমে চামড়া শিল্পের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
মাগুরায় গবাদি পশুর বিক্রির পর চামড়া কেনাবেচা নির্ভর করে আড়ৎ মালিকদের ওপর।
চামড়ার উপযুক্ত দাম না থাকায় বাজারে মাংসের দামও বেশি। চামড়ার দাম থাকলে মাংসের দাম কমে যেত।
সারাবছর সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে চামড়ার নায্য মূল্য পাওয়া যায় না। কোরবানির অতিরিক্ত চামড়া আমদানি হলে বাজারের বেহাল দশা হবে। অনেকে চামড়া ফেলে দেয় এবং অনেক চামড়া উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে পচে যায়।
লবণের দাম বেশি, তাছাড়া শ্রমিক খরচও অনেক। খরচ-খরচা করে চামড়া প্রস্তুত করে বিক্রয়ের জন্য মহাজনও পাওয়া না।
মাংস ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টদের দাবি কাঁচা চামড়ার উপযুক্ত মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা এবং ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট ভাঙ্গার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
কোরবানির সময় চামড়ার অবমূল্যায়ন হয় সব থেকে বেশি। চামড়া সংরক্ষণে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দাবি বিশেষজ্ঞদের।
জেলায় এ বছর ৮০ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩২ হাজার পশুর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত পশু দেশের অন্য জেলায় পাঠানোর কথা।