মাদ্রাসা, খেলার মাঠ ও মসজিদ বিক্রি করে দিয়েছেন এক যুবলীগ নেতা
- আপডেট সময় : ০৩:৪১:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অক্টোবর ২০২১
- / ১৭৫০ বার পড়া হয়েছে
মাদ্রাসা, খেলার মাঠ ও মসজিদ বিক্রি করে দিয়েছেন এক যুবলীগ নেতা। দাতা সেজে জমি রেজিস্ট্রিও করে দিয়েছেন তিনি। প্রায় দুই কোটি টাকার এই সম্পত্তি বিক্রির দলিলে দাম দেখানো হয়েছে মাত্র ৫১ লাখ টাকা। এ ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে ওই নেতা। রাজশাহীর পবা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের যোগসাজশে এ ধরনের ভয়াবহ জালিয়াতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাজশাহীর পবা উপজেলার পুড়াপুকুর দাখিল মাদ্রাসা। বেশ কয়েকটি ব্যাচ দাখিল পাস করে বেরিয়ে গেছে এ মাদ্রাসা থেকে। কিন্তু দীর্ঘদিন এমপিভুক্ত না হওয়ায় স্থানীয়ভাবে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছিল না। বেতন-ভাতা না পেয়ে শিক্ষকদের বেশিরভাগই চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষা কার্যক্রম। তবে মাদ্রাসার বিশাল খেলার মাঠ, আর একপাশে মসজিদ এখনো বহাল।
কয়েকদিন আগে হঠাৎ প্রকাশ্যে আসে মাদ্রাসা, মসজিদ ও মাঠ বিক্রি হয়ে গেছে। মাদ্রাসার সভাপতি পরিচয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা আসলাম সরকার ও শিক্ষক মসদুল হক ভারপ্রাপ্ত সুপার সেজে গোপনে সম্পত্তি হস্তান্তর করেছেন।
দলিলে ক্রেতা হিসেবে রাহমানিয়া কমপ্লেক্সের নাম লেখা হয়েছে। ঠিকানা- একই গ্রামে। কিন্তু গ্রামবাসী বলছেন, এই নামের কোনো প্রতিষ্ঠানই নেই এখানে।
এসএটিভির অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ১৮ আগস্ট স্থানীয় ভুমি অফিসে মাদ্রাসার সভাপতি পরিচয়ে খাজনার দাখিলা কাটা হয়েছে। কিন্তু সভাপতি পরিচয় দেয়া কোনো ব্যক্তির প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। তবে এসি ল্যান্ড অবশ্য বলছেন, কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে সাব-রেজিস্ট্রার এর দায় এড়াতে পারেন না।
কার্যালয়ে গেলেও সাক্ষাতকার দিতে রাজি হননি সাব-রেজিস্ট্রার রওশন আরা। যদিও পরে দাবি করেছেন, সকল কাগজপত্র নিজে দেখেই জমি রেজিস্ট্রি করেছেন তিনি।
জমির বিক্রির পর গা ঢাকা দিলেও যুবলীগ নেতা আসলাম সরকারের সন্ধান পায় টিম এসটিভি। তার দাবি- জমি বিক্রি নয়, দান করেছেন তিনি।
মসজিদ, মাদ্রাসা নির্মাণ ও কবরস্থানের জন্য নব্বইয়ের দশকে এই জমি দান করেছিলেন এক ব্যক্তি।