মানবপাচার ও অভিবাসন আইন নিয়ে ভুল ব্যাখ্যার সুযোগ নেই

- আপডেট সময় : ০৯:১৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
- / ১৫৮০ বার পড়া হয়েছে
মানবপাচার ও অভিবাসন সম্পর্কিত আইন দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা মন্তব্য করে শ্রম ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, যারাই এ আইনের অপব্যবহার করবে তাদেরকে শাস্তির আওতায় নেয়া দোষের কিছু নয়। আর রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের সংগঠন- বায়রার দাবি, দুটি আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আইন দুটিকে গুলিয়ে ফেলে অভিবাসন খাতকে হুমকির মুখে দাঁড় করানো হচ্ছে উল্লেখ করে এর সংশোধন দাবি করেন তারা।
দেশ ও পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে প্রতিবছর বৈদেশিক কর্মসংস্থানের আশায় ভিটেমাটি বিক্রি করে প্রতারণার শিকার হচ্ছে লাখ লাখ নারী-পুরুষ।
এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে কাজ করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অভিবাসন আইনের প্রয়োগ না করে দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ আইন ব্যবহার করায় ক্ষোভ জানান রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠন- বায়রা।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানে- রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও প্রবাসীদের বিড়ম্বনা রুখতে মঙ্গলবার ঢাকার একটি হোটেলে “মানবপাচার আইনের অপপ্রয়োগ ও বৈধ অভিবাসনের অন্তরায়” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে রিক্রুটিং এজেন্সি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন অফ বাংলাদেশ।
এ সময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বায়রার সাবেক অর্থসচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম জানান, দেশে প্রায় ২ হাজার রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বছরে ৭ থেকে ১২ লাখ শ্রমশক্তি বিদেশে রপ্তানী করা হয়।
শ্রমবাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং প্রবাসে বেতন ও কাজে যাতে কেউ হয়রানী না হয় সেজন্য মানবপাচার প্রতিরোধ আইন ২০১২ এবং একবছর পর অভিবাসন আইন প্রণয়ন করা হলেও এরই মধ্যে ৬ হাজার মামলায় মাত্র ১শ’ মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব হয়েছে। তাই আইনের সংশোধনী চায় বায়রা।
শ্রমশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্সীর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের আহ্বান জানান বিএমইটি’র মহাপরিচালক।
কিছু মামলার জন্য এ খাত ধ্বংস হতে পারে না বলে মত দেন ককাসের সভাপতি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
শ্রম ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মানবপাচার আইন ও অভিবাসী আইনের পার্থক্য তুলে ধরে জানান, দোষীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।
বছরে ২৪ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার যোগানদাতা প্রবাসীদের অধিকার নিশ্চিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে আরো দায়িত্ববান হবার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।