মানবেতর জীবনযাপন করছেন কয়েক’শ বাউল শিল্পী
- আপডেট সময় : ০৬:৪১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মার্চ ২০২৩
- / ১৭০৯ বার পড়া হয়েছে
মানবেতর জীবনযাপন করছেন কিশোরগঞ্জের পেশাদার কয়েক’শ বাউল শিল্পী। পশ্চিমা সংস্কৃতির দাপটে কোনঠাসা এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী এ অঞ্চলের জনপ্রিয় বাউল গান। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে শত বছরের গ্রামীণ এ সংস্কৃতি ধরে রাখা সম্ভব, বলছেন সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞরা।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার শোলাকিয়া গ্রামের বাউল সোহেল সরকার। ১২ বছর বয়স থেকে যুক্ত এ পেশায়। হালে গানে আর উপার্জন নেই, তাই হতাশ তিনি। নিজ বাড়ির উঠানে একা-একা গান গেয়ে যান আপন মনে। সময় কাটান বাদ্যযন্ত্রের পরিচর্যা করে। অপেক্ষা করেন, হয়তো কেউ আসবেন গান গাওয়ার বায়না করতে।
সোহেল সরকারের মতো, জেলার চার শতাধিক বাউল, ভরা মৌসুমেও পান-না গান গাওয়ার ডাক। তাই বাড়িতে বসে নিজের বেহালায় করুণ সুর তোলেন। ভিনদেশি সংস্কৃতি আর স্মার্টফোনে সহজলভ্য বিনোদনের দাপটে বাংলার সংস্কৃতির শেকড় বাউল গান হারাতে বসেছে অস্তিত্ব। এতে মহা বিপাকে দেশীয় সংস্কৃতি আকড়ে ধরে রাখা সহজ সরল মানুষ।
ঐতিহ্যবাহী বাউল সঙ্গীত টিকিয়ে রাখতে বাউলদের সহযোগিতা করতে হবে, পাশাপাশি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার কথা জানান বাংলা বিভাগের এ সহযোগী অধ্যাপক।
জেলার সব বাউলদের তালিকা করে, তাদের প্রণোদনার আওতায় আনার কথা জানান জেলা প্রশাসক।
শুধু আশ্বাস নয়। বিলুপ্তির পথ থেকে বাউল সংগীত ফিরিয়ে আনতে নবীন-প্রবীন বাউলদের পাশে দাঁড়াবে সরকার। এমনটাই প্রত্যাশা–কিশোরগঞ্জের বাউল শিল্পীদের।