মামলার রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাইরে
- আপডেট সময় : ০২:০০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫৮৩ বার পড়া হয়েছে
মামলার রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেও দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাইরে। কারাগারে যেতে হচ্ছে না। বাড়িতেই সাজা খাটছেন। প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অধ্যাদেশ অনুযায়ী আদালতের নির্দেশেই এমন সুবিধা পাচ্ছে তারা। এ ধরনের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সারাদেশে এখন রোল মডেল রাজশাহী। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ আইনটি প্রয়োগের ফলে আদালতে মামলার জট ও কারাগারে বন্দিদের চাপ কমবে।
আপসযোগ্য একটি মামলায় আদালতের রায়ে একবছর জেল হয়েছে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সত্তর বছর বয়সী আমির উদ্দিনের। তবে, সারাজীবনে এই প্রথম তিনি সাজা পেয়েছেন। অপরাধ ও বয়স বিবেচনায় দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অধ্যাদেশ অনুযায়ী আদালত তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে বাড়িতেই সংশোধনের সুযোগ দিয়েছে। এসময়ে তিনি স্বাক্ষর করা শিখেছেন। আদালতের প্রচেষ্টায় পেয়েছেন বয়স্ক ভাতাও।
আমির উদ্দিনের মতো রাজশাহীর আদালত থেকে অন্তত ২৩ আসামী এই সুবিধা পেয়েছে। সারাদেশে জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে রেকর্ড এটি। বাদী ও আসামীদের মাঝে সমন্বয়ের কাজটি করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন কর্মকর্তা। এর ফলে আদালতে কমছে মামলার জট। আর কারাগারেও কমছে বন্দী সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৬০ সালের এই অধ্যাদেশটি সংস্কার করলে আরো সুফল মিলবে। তবে প্রবেশন সুবিধা পাওয়া ব্যক্তিরা শর্ত ভঙ্গ করলেই, সাজা খাটতে যেতে হবে কারাগারে।