মিয়ানমারে যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে মাদকের আগ্রাসনের আশঙ্কা
- আপডেট সময় : ১১:২৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১৬৫৩ বার পড়া হয়েছে
মিয়ানমারে যুদ্ধ পরিস্থিতি কারণে আরেক দফায় বাংলাদেশে মাদকের আগ্রাসন হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা । তারা বলেন, আর্থিক সংকট কাটাতে সে দেশের বিদ্রোহীদের তত্বাবধানে মাদকের চালান প্রবেশ করতে পারে বাংলাদেশে। একইসাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগ নিতে পারে মাদক কারবারিরা। তাই সীমান্ত রক্ষার সঙ্গে মাদক ও চোরাচালান রোধের সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
বাংলাদেশের মাদকের রাজ্যে বহু বছর ধরে একছত্র আধিপত্য ছোট্ট গোলাপী রংয়ের এই ইয়াবা ট্যাবলেটের । যার উৎপত্তি প্রতিবেশি মিয়ানমারে। বাংলাদেশের বাজারকে টার্গেট করে সীমান্তে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য ইয়াবা কারখানা। রাষ্ট্রিয় পর্যায় উদ্যোগ নিয়েও মিয়ানমারকে ইয়াবা উৎপাদনে রাশ টানাতে পারেনি বাংলাদেশ। সম্প্রতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলমান সংঘর্ষে সীমানা এলাকার নিয়ন্ত্রন হারিয়েছে জান্তা সরকার। নিরাপত্ত্বা বিশ্লেষকরা বলছেন, আর্থিক সংকট কাটাতে ইয়াবা কারখানাগুলোর নিয়ন্ত্রন নিতে পারে বিদ্রোহীরা। কুটনীতিকরা বলছেন, মিয়ানমারের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সীমানায় তৎপর আছে বাংলাদেশের সব ধরনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই বাস্তবতায় ওপারের পাচারকারীদের চেয়ে এদেশের মাদককারবারিদের প্রতি নজর দিতে হবে বেশি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলছে, মিয়ানমারের সঙ্গে ২০৬ কিলোমিটার স্থল, ৬৫ কিলোমিটার নদী ও ৫৫৬ কিলোমিটার সামুদ্রিক সীমানা রক্ষণাবেক্ষণ করাটা কঠিন। এর ওপর ওপারে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ঝুঁকিও বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি। তারপরও সবদিক বিবেচনায় নিয়ে নতুন পরিকল্পনা সাজিয়েছেন তারা। মাদকের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল হিসেবে পরিচিত মিয়ানমারে রাষ্ট্রিয়ভাবেই মাদককারবারীদের পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অস্থিরতার সুযোগে এই অপ-তৎপরতা আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।