মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ
- আপডেট সময় : ০৭:২৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
- / ১৭২৫ বার পড়া হয়েছে
মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং সামরিক জান্তার গোলাবর্ষণে নাফ নদী হয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল এখনো বন্ধ রয়েছে। এতে চরম কষ্টে পড়েছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। অবশেষে ১০ দিন পর প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে পৌঁছানো হয় চাল, ডাল, তেল ও নিত্য খাদ্যদ্রব্যসহ নানা পণ্য সামগ্রী। জেলা প্রশাসনের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় আগামী এক মাসের জন্য বিকল্প পথে ২’শ মেট্রিক টন পণ্য পৌঁছে দেয়া হয় দ্বীপে। একই সঙ্গে দুই পাড়ে আটকে পড়া ৫ শতাধিক যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে মর্টার শেল ও ভারী গোলার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সেন্টমার্টিন। এমনকি টেকনাফ সীমান্তের খুব কাছে চোখে পড়ছে মিয়ানমারের টহল জাহাজও। সংঘাতের জেরে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়তকারী নৌযান লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণও করে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। এ নিয়ে ওই অঞ্চলে বাড়ছে নিরাপত্তা আতঙ্ক।
ফলে গেলো ১০ দিন যাবত সেখানে কোন খাদ্যপণ্য পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। যে কারণে দ্বীপে দেখা দেয় খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় নানা পণ্যের সংকট। জেলা প্রশাসনের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সমুদ্রের বিকল্প পথে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন পৌছানো হয় খাদ্যপণ্য।
জাহাজে পাঠানো খাদ্য দিয়ে আগামী এক মাস পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের চলবে জানাচ্ছে প্রশাসন। সীমান্তের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রশাসনের সবাই সবসময় সচেষ্ট থাকবেন।
জাহাজ কর্তৃপক্ষ বলছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে প্রশাসনিক উদ্যোগে বিনা ভাড়ায় কর্ণফুলি শীপ ইয়ার্ড কোম্পানি মালামাল ও পণ্য পরিবহনে সহায়তা করছে। ভবিষ্যতেও প্রশাসনের সাথে আলাপ করে জাহাজ কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগর হয়ে ৪টি ট্রলারে করে টেকনাফ ফিরেছে প্রায় ৩শ’ যাত্রী আর টেকনাফ থেকে ফিরে যায় দ্বীপের দুই শতাধিক বাসিন্দা