১১:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

মিরপুরে নিউ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের দোকান বরাদ্দের নামে ৯ কোটি টাকা লোপাট

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৪৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৫৪৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৩১ বছর আগে রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনে নিউ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের দোকান বরাদ্দের নামে ঢাকা সিটি করপোরেশন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা করে প্রায় ৯ কোটি কেটি টাকা হাতিয়ে নেয় বলে গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন এই ভবনটিকে এরই মধ্যে বুয়েট ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর এলাকার মানুষের কাছে ভবনটি ‘মাদক ভবন’ হিসেবে পরিচিত। এ ব্যাপারে মেয়র আতিকুল ইসলাম নানা অনিয়মের অভিযোগ স্বীকার করলেও এর দায় নিতে রাজি নন তিনি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনের অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের পূর্ণবাসনের লক্ষে ১৯৮৯ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র নাজিউর রহমান মঞ্জুর আমলে মার্কেটটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।  নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকেই সিটি করপোরেশন, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং ঠিকাদারের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ এবং অর্থ বাণিজ্য নিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে খুড়িয়ে খুড়িয়ে মির্জা আব্বাস এবং মোহম্মদ হানিফের আমলে ১৯৯৫ সালে মার্কেটের নিচ তলার কাজ শেষ হয়।

একপর্যায়ে ঠিকাদারের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের বিরোধের জের ধরে মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে মেয়র সাদেক হোসেন খোকার আমলে ২০০৬ সালে পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু হলেও আবার বন্ধ হয়ে যায়। সিটি কর্পোরেশন তথ্য অনুযায়ী, মার্কেটরি নির্মাণাধীন ব্যায় করা হয় প্রায় ২৫ কোটি টাকা। মার্কেটের মোট দোকানের সংখ্যা ২ হাজার ৩৬৩টি। দোকান বরাদ্দের নামে ৯০ হাজার টাকা করে প্রায় ৯ কোটি কেটি টাকা হাতিয়ে নেয় সিটি করপোরেশন।

২০১১ সালে সিটি করপোরেশন বিভক্ত হলে মার্কেটের দায়িত্ব পায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।মার্কেটের নতুন নাম হয় নিউ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মার্কেট। এরপর দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র আনিসুল হক এবং বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম মার্কেটটি পূণনির্মাণের কোন উদ্যোগ নেননি।

শিগগিরই মার্কেটটি পূণনির্মাণ করে বরাদ্দকৃতদের বুঝিয়ে দিতে এসএ টিভির মাধ্যমে সিটি কর্পোরোশনের কাছে দাবি জানালেন স্থানিয় সংসদ সদস্য। এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র জানান, ৩১ বছর ধরে পরিত্যক্ত থাকায় এরই মধ্যে বুয়েট এটিকে ঝুকিপূর্ন ভবন হিসেবে চিহ্নত করেছে। অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে হলেও, শিগগিরই মার্কেটটির নির্মাণ কাজ পুনরায় করার কথা জানান ডিএনসিসি মেয়র।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মিরপুরে নিউ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের দোকান বরাদ্দের নামে ৯ কোটি টাকা লোপাট

আপডেট সময় : ০২:৪৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

৩১ বছর আগে রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনে নিউ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের দোকান বরাদ্দের নামে ঢাকা সিটি করপোরেশন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা করে প্রায় ৯ কোটি কেটি টাকা হাতিয়ে নেয় বলে গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন এই ভবনটিকে এরই মধ্যে বুয়েট ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর এলাকার মানুষের কাছে ভবনটি ‘মাদক ভবন’ হিসেবে পরিচিত। এ ব্যাপারে মেয়র আতিকুল ইসলাম নানা অনিয়মের অভিযোগ স্বীকার করলেও এর দায় নিতে রাজি নন তিনি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনের অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের পূর্ণবাসনের লক্ষে ১৯৮৯ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র নাজিউর রহমান মঞ্জুর আমলে মার্কেটটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।  নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকেই সিটি করপোরেশন, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং ঠিকাদারের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ এবং অর্থ বাণিজ্য নিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে খুড়িয়ে খুড়িয়ে মির্জা আব্বাস এবং মোহম্মদ হানিফের আমলে ১৯৯৫ সালে মার্কেটের নিচ তলার কাজ শেষ হয়।

একপর্যায়ে ঠিকাদারের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের বিরোধের জের ধরে মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে মেয়র সাদেক হোসেন খোকার আমলে ২০০৬ সালে পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু হলেও আবার বন্ধ হয়ে যায়। সিটি কর্পোরেশন তথ্য অনুযায়ী, মার্কেটরি নির্মাণাধীন ব্যায় করা হয় প্রায় ২৫ কোটি টাকা। মার্কেটের মোট দোকানের সংখ্যা ২ হাজার ৩৬৩টি। দোকান বরাদ্দের নামে ৯০ হাজার টাকা করে প্রায় ৯ কোটি কেটি টাকা হাতিয়ে নেয় সিটি করপোরেশন।

২০১১ সালে সিটি করপোরেশন বিভক্ত হলে মার্কেটের দায়িত্ব পায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।মার্কেটের নতুন নাম হয় নিউ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মার্কেট। এরপর দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র আনিসুল হক এবং বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম মার্কেটটি পূণনির্মাণের কোন উদ্যোগ নেননি।

শিগগিরই মার্কেটটি পূণনির্মাণ করে বরাদ্দকৃতদের বুঝিয়ে দিতে এসএ টিভির মাধ্যমে সিটি কর্পোরোশনের কাছে দাবি জানালেন স্থানিয় সংসদ সদস্য। এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র জানান, ৩১ বছর ধরে পরিত্যক্ত থাকায় এরই মধ্যে বুয়েট এটিকে ঝুকিপূর্ন ভবন হিসেবে চিহ্নত করেছে। অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে হলেও, শিগগিরই মার্কেটটির নির্মাণ কাজ পুনরায় করার কথা জানান ডিএনসিসি মেয়র।