মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী হত্যা করে বরিশালের নিরীহ গ্রামবাসীদের
- আপডেট সময় : ০৯:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী হত্যা করে বরিশালের নিরীহ গ্রামবাসীদের। লাশ ফেলে দেয়া হয় নদী, খাল থেকে শুরু করে কুয়াতে ও ভাগাড়ে। গণহত্যার পর মাটি চাপা দেয়া হয়। কিন্তু স্বাধীনতার আটচল্লিশ বছর পরও যে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে এসেছে স্বাধীনতা; আজো মেলেনি তাদের স্বীকৃতি। তাদের পরিবারও পায়নি সরকারি সামান্যতম সহযোগিতা। আর বছরের পর বছর সংস্কার ছাড়া পড়ে থাকা বধ্যভূমির চিহ্ন ম্লান হতে চলেছে।
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী বন্দরে নিরীহ গ্রামবাসীদের জড়ো করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। এরপর চলে গ্রামবাসীর উপর অমানুষিক নির্যাতন। কাউকে ব্যানেড দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে আবার কাউকে গুলি করে হত্যা করে ফেলে দেয়া হয় কলসকাঠী খালে। স্বজনহারারা এ হত্যাযজ্ঞ স্বচোখে দেখলেও, টু-শব্দটিও করতে পারেনি। শুধুমাত্র চোখের জল ফেলেছেন মুখে কাপড় দিয়ে। এই একটি বধ্যভূমিতেই হত্যা করা হয় চার শতাধিক গ্রামবাসীকে।
এভাবে বরিশাল জেলার ৩৩টি বধ্যভূমিতেই হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। তাদের সহায়তা করে রাজাকাররা। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের তালিকা তৈরী করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া এবং শহীদের স্বজনদের আর্থিক সহায়তার দাবি জানালেন মুক্তিযোদ্ধারা। আগামী বছরের মধ্যে চিহ্নিত বধ্যভূমি সংস্কার করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান এবং একই সাথে সরকার শহীদদের স্বীকৃতি দেবে এমনটা আশা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের।
আর জেলা প্রশাসক বললেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বধ্যভূমি সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। স্বীকৃতি দেয়ার জন্য যাচাই বাছাই করে শহীদদের তালিকাও তৈরী হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ গবেষকরা বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় অনুসন্ধান চালিয়ে ৩৩টি বধ্যভূমির সন্ধান পেয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩টি, গৌরনদীতে ৪টি, আগৈলঝাড়ায় ৬টি, বাকেরগঞ্জে ৩টি, বানারীপাড়ায় ৫টি, বাবুগঞ্জে ২টি, উজিরপুরে ৫টি, মুলাদীতে ২টি এবং মেহেন্দীগঞ্জে ৩টি।