মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ৭০ হাজার গৃহহীনকে ঘর উপহার
- আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
দেশের ৪৯২টি উপজেলায় গৃহহীনদের হাতে ঘরের চাবি ও জমির দলিল তুলে দেয়ার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আট লাখ পঁচাশি হাজার ৬২২ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ বাড়ি নির্মানের এই বিশাল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে দারিদ্র কমবে। আশ্রয়ন প্রকল্প ২ এর আওতায় ১ হাজার ১শ আটষট্টী টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পে প্রতি পরিবার পাবে ২ শতাংশ জমি ও বাড়ি। এসময় বিভিন্ন জেলায় প্রতিমন্ত্রী, প্রশাসক, পুলিশ সুপার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সুবিধাভোগীদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার তুলে দেন।
অন্ন ও বস্ত্রের চাহিদার মতো এখন ঘরের চাহিদাও পূরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী, মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ সকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটরিয়ামে আশ্রয়নের ঘর ও জমির দলিল, খতিয়ান, ডিসিআর ও সনদপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপকারভোগিরা জমি ও ঘর পেয়ে নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। পরে রাঙ্গুনিয়ার উপকারভোগী ৬৫ পরিবারের মাঝে ভূমি ও ঘরের দলিলসহ যাবতীয় কাগজপত্র হস্তান্তর করেন তথ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের নতুন স্বপ্ন পূরণে সরকারের এই সাফল্য মুজিববর্ষকে ইতিহাসে মহিমান্বিত করে রাখবে, বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান। জামালপুরের সাত উপজেলার এক হাজার ৪৭৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর ও জমির সনদ প্রদান এবং জমির কবুলিত দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বরিশালের গৃহহীনদের হাতে ঘর ও জমির দলিল তুলে দিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য কর্ণেল অব জাহিদ ফারুক শামিম। ১০ উপজেলায় হস্তান্তর করা হয় ১ হাজার ৯টি ঘর ও জমির দলিল।
গোপালগঞ্জে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৫ উপজেলায় ৭৮৭টি গৃহ দেয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সকালে জেলা ৫ উপজেলায় এক যোগে এ ঘর বিতরণ করা হয়। ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলো এক হাজার তিনশো পাঁচটি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। সকালে সদর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ঘরগুলো হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। লালমনিরহাটে একই কার্যক্রমের আওতায় ভূমিহীনদের মাঝে ২ শতাংশ জমির কবুলিয়াতসহ ঘরের কাগজপত্র বুঝিয়ে দেয়া হয়।সারাদেশের মতো নেত্রকোণার দশ উপজেলায় জমি ও ঘর দেয়া হয়েছে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ঘর ….. উপজেলায় ৪০টি পরিবারকে দেয়া হয়। কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয় সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স হল রুমে। কুড়িগ্রামে জমিসহ ঘর পেলেন ১ হাজার ৫শ ৪৯ ভুমি ও গৃহহীন পরিবার। ঘর পেয়েছেন রানা প্লাজায় নিহত রুবিনার পরিবারও। প্রধানন্ত্রীর উপহার পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তারা।
কুমিল্লায় ১৮ জন গৃহহীনদের মাঝে চাবি হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। যশোরের শার্শায়ও ৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার বুঝে পেয়েছেন হাতে পাকা ঘরের চাবি। চাঁদপুর জেলায় ১১৫ গৃহহীন পরিবার পেয়েছে নতুন ঘর। দিনাজপুরে “জমি নেই ঘর নেই”এমন ৩ হাজার ২২টি পরিবারকে প্রথম পর্যায়ে চাবিসহ জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।
মুজিব শতবর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের প্রথম ধাপে জয়পুরহাটেও ১৬০ টি পরিবারের মাঝে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। মাদারীপুরের ১৪৬টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। মেহেরপুর সদর উপজেলা হলরুমে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
নড়াইলে ২ শতক জমিসহ ১০৫টি গৃহ ও বন্দোবস্তকৃত জমির মালিকানার কাগজপত্র সুবিধাভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। নাটোরে এই সুবিধার আওতায় এসেছে ৫৫৮টি পরিবার।
সারাদেশের ন্যায় পটুয়াখালীর গলাচিপায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমীতে ১৩০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে একক গৃহের দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার ৬১৩ জন ভুমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে কবুলিয়ত দলিলসহ নব-নির্মিত বাসগৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে।